সাবিনা আক্তার ২১ বছরের যুবতী । বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সাইফুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবক। পালিয়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে সাবিনাকে বাড়িতে থেকে নিয়েও যায় সে। কিন্তু কাজী অফিসে না গিয়ে নিয়ে যায় কলাবাগানে। সেখানে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চায়। এতে বাধ সাধেন সাবিনা। জানিয়ে দেন- বিয়ের আগে কোন ধরণের শারীরিক সম্পর্কে জড়াবেন না তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করে সাইফুল।

পরে মৃতদেহকেই ধর্ষণ করে সে।

নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর শিবপুরে। র‌্যাব-১১ এর একটি দল সাইফুলকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর নৃশংস এ ঘটনা স্বীকার করেছে সে। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, তার দেয়া তথ্য মতে, নিহতের মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ অধিনায়ক শমসের উদ্দিন জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসের দিকে শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার (২১) এর সঙ্গে পরিচয় হয় একই উপজেলার দুলালপুর গ্রামের হানিফ ফকিরের ছেলে সাইফুল ইসলামের। এরপর সাবিনাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে  তোলে। গত ৮ই জুন বিয়ে করার উদ্দেশ্যে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সে। পরে পার্শ্ববর্তী কাজিরচর গ্রামের একটি কলা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরীর চেষ্টা চালায়।

কিন্তু বিয়ের পূর্বে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হননি সাবিনা। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইফুল। হত্যার পর মৃতদেহকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় নিহতের মা আফিয়া আক্তার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে শিবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন (পিপিএম) এর নেতৃত্বে অভিযানে নামে একটি বিশেষ দল।

এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে শিবপুর কলেজ গেট এলাকা থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সাইফুল হত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031