image_114113

ঢাকা ২৫ মে : কোন জিনিস ফ্রিজে রাখবো আর রাখবো না আমাদের মধ্যে সব খাদ্য-দ্রব্য ফ্রিজে রাখার একটা প্রবণতা রয়েছে।অনেক সময় আমরা এসব জিনিস বুঝে রাখি, আবার অনেক সময় না বুঝেও রাখি।খাদ্য মান বজায় রাখতে হলে এ ব্যাপারে আমাদেরকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে।বুঝতে হবে বিজ্ঞান।আসলে কোনো কিছু বিজ্ঞানের বাইরে নয়।আসুন জেনে নেই কোন জিনিস ফ্রিজে রাখবো আর কোন জিনিস রাখবো না।

আলু: ফ্রিজে রাখলে একদিকে যেমন আলুর গন্ধ চলে যায়। তেমনি আলুর মধ্যে থাকা শর্করা দ্রুত বাড়তে থাকে। আলু ভাল করে রাখতে কাগজের প্যাকেটে ঘরের স্বাভাবিক টেম্পারেচারে রাখুন।

মধু: ফ্রিজে রাখলে মধুর মধ্যে একটা ‘ক্রিস্টাল’ লুক হয়। যদি, মধু ভালভাবে রাখতে চান, তাহলে কাঁচের শিশিতে ঘরের স্বাভাবিক টেম্পারেচারে রাখুন। এতে মধু ফ্রেসও থাকে এবং অনেকদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক গুণ বজায় থাকে। মধু ‘ক্রিস্টাল’-এর আকার ধারণ করলে গুণ নষ্ট হয়ে যায়।

তরমুজ: ফ্রিজে সাধারণত ফল ভাল থাকে না। ফ্রিজের ঠান্ডায় তরমুজে ‘চিল ইনজুরি’ হয়। এর ফলে তরমুজ তাঁর স্বাদ ও রং হারিয়ে ফেলে। ‘চিল ইনজুরি’-তে ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। আর এই অবস্থায় ওই তরমুজ খাওয়া পেটের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর।

পাউরুটি: ঠান্ডায় থাকা পাউরুটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বের করলে খুব দ্রুত তা শুকোতে শুরু করে। এর ফলে পাউরুটি ঝুরঝুরে হয়ে যায়। তাই পাউরুটিকে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। তিন থেকে চার দিন ধরে যতটা পাউরুটি খাবেন সেটা বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন।

কফি: ফ্রিজে কফি রাখলে তা খুব দ্রুত গন্ধ হারিয়ে ফেলে। এমনকী ফ্রিজে থাকা অন্য সব জিনেসের গন্ধ কফির মধ্যে ঢুকে যায়। এমনকী, অত্যাধিক ঠান্ডা কফিকে ড্যাম্প করে দেয়।

কলা:ফ্রিজে রাখলে কলা একদিকে যেমন তার পরিপক্কতা হারায়, সেইসঙ্গে স্বাভাবিক গুণাবলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ কলা নিজেই একটা ঠান্ডা ফল। সেইসঙ্গে বাড়তি ঠান্ডায় রাখলে কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম কনটেন্টও কমে যায়।

পেঁয়াজ: বেশি ঠান্ডায় পেঁয়াজ নরম হয়ে যায়। অন্য জিনিসের গন্ধও খুব দ্রুত পেঁয়াজ গ্রহণ করে। তাই স্বাভাবিকতাপমাত্রায় পেঁয়াজ রাখাই ভাল। খুব দরকার হলে একদিনের জন্য ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।

অলিভ ওয়েল: ফ্রিজে রাখলেই জমে যায়। এর ফলে অলিভ ওয়েলের মধ্যে এমন কিছু কেমিক্যাল রিয়্যাকশন হয়, যা মানুষের শরীরের পক্ষে হানিকর।

টমেটো:অত্যাধিক ঠান্ডায় টমেটোর স্বাভাবিক গুণ নষ্ট হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ‘ফাঙ্গাল ইনফেকশন’ হয়। এরপর ওই টমেটো খেলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

রসুন: গোটা রসুন ফ্রিজে রাখা অস্বাস্থ্যকর। রসুনের কোয়া অত্যাধিক ঠান্ডায় শুকোতে থাকে। এর ভিতরে যে রস থাকে তা শুকিয়ে যায়। সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা গোটা রসুন ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে, রসুনের পেস্ট ১০ থেকে ১৫ দিন ফ্রিজে স্টোর করা যায়।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031