দালালের আনাগোনা নিয়ে অভিযোগ করেন একজন হটলাইনে (১০৬) পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে । অভিযোগ পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হাজির হন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিনজন। ছদ্মবেশে অবস্থান করেছেন দুইঘণ্টা। এরপর কথা বলেন পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আল আমিন মৃধার সাথে। এ সময়ের মধ্যে হটলাইনে করা অভিযোগের ‘সত্যতা’ পাওয়ার কথা জানায় দুদকের টিম। কিন্তু কোন দালালকে ‘ধরতে’ পারেনি দলটি। এ বিষয়ে মোহাম্মদ আল আমিন মৃধা জানান, পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন শাখা আমরা দুদক টিমের সদস্যদেরকে ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছি। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ এর নেতৃত্বে পাসপোর্ট অফিসে আসেন দুদক টিম। এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, দুদকের হটলাইনে এক ভুক্তভোগী পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য নিয়ে অভিযোগ করেন। এরপর তাৎক্ষণিক দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক জাফর আহমদের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনো দালালকে আটক করা না গেলেও পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন নথিপত্র দেখে হটলাইনে করা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি আমরা। আঞ্চলিক এ পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধে আমরা দুদক আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আল আমীন মৃধা বলেন, একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম পরিচয় গোপন রেখে প্রায় দু’ঘণ্টা পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অবস্থান করে। পরে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন শাখা দেখেছেন। তিনি বলেন, বৈঠকে দুদক টিম পাসপোর্ট অফিসে সেবার মান আরও বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। লোকজন যাতে দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে আল আমীন মৃধা বলেন, আমাদের অফিসে কোন দালাল নেই। ‘দুদক টিমের সামনে কয়েকজন সেবাপ্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। কয়েকজন বেশি টাকা গুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ঢাকায় প্রিন্টিং মেশিন ত্রুটির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে পাসপোর্ট অফিসের কেউ টাকা নিয়েছে এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারেননি।’
পাসপোর্ট পেতে দেরির যে বিষয়টি রয়েছে তার মুলে রয়েছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। পুলিশ ভেরিফিকেশন পাসপোর্ট অফিসে আসা মাত্র পাসপোর্ট প্রিন্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আর পাসপোর্ট প্রিন্ট হলেই এসএমএসের মাধ্যমে তা সংশ্লিষ্টদের কাছে চলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিংবা বিলম্ব করার কোন সুযোগ নেই। সম্প্রতি ঢাকায় পাসপোর্ট বইয়ের সংকট ছিল। এ নিয়ে আমাদের ত্রাহি অবস্থা গেছে। গ্রাহকদেরকে পাসপোর্ট পেতে অনেক সময় লেগেছে। পাসপোর্ট অফিসে কোন ধরনের ক্রাইসিস হলে তার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে দালাল চক্র। তবে এ বিষয়ে সবসময় সতর্ক বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
