অফিস ফাঁকির কথা প্রায়ই শোনা যায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের । তবে মফস্বলে এমন অভিযোগ অনেকটা বেশি। কিন্তু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের খোদ প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানালেন, তিনি সকালে এসে মাঝে মধ্যে মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের খুঁজে পান না। তবে প্রতিমন্ত্রীর আশা সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় এগিয়ে যাবে তার মন্ত্রণালয়। এজন্য তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।

বুধবার সচিবালয়ে অধীন ১৭টি সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি এখন যতটুকু আছে সন্তুষ্ট না হলেও অসন্তুষ্ট নই। মাঝামাঝি জায়গায় আছি। কাজের গতি আমরা বাড়াব।’

তিনি বলেন, ‘আগামীতে মন্ত্রণালয়কে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যাব বলে আশা করছি। এটি সম্ভব হবে কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতায়। এটি একটি টিম ওয়ার্ক, এই টিম ওয়ার্কে আমরা যাতে সফল হতে পারি। আমরা যার যার নিজের কাজের প্রতি যত্মশীল হই।’

কে এক খালিদ বলেন, ‘আমি মাঝে মধ্যে সকালের দিকে মন্ত্রণালয়ে এসে বিভিন্ন অফিসারদের খোঁজ করি, আমি প্রায়ই পাই না। যাদের খোঁজ করি হয়তো তাদের ভাগ্য খারাপ, অথবা আমার ভাগ্য খারাপ। তারা হয়তো প্রতিদিনই আসে সময় মতো, আমি যেদিন খোঁজ করি সেদিন পাই না- এমনটি হতে পারে। অথবা তারা রোজই দেরি করে। তাই আমরা সবাই কাজের প্রতি যত্মশীল হই।’

বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তির বিষয়ে কে এম খালিদ বলেন, ‘ক্যাবিনেট থেকে আমাদের প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় করা হবে, আমরা যদি এই বিষয়টি মাথায় নিয়ে কাজ করি, আমরা নিজেরা ভাবি আমরা নিজেরা কি ১০০ পেতে পারি? আমরা আমাদের ১৭টি সংস্থার মধ্যে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করব। আমরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হই, তাহলে ওই প্রতিযোগিতায় আমাদের উত্তীর্ণ হওয়া সহজ হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে আমরা এবারের চেয়ে ভালো অবস্থানে যাব।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ক্ষোভ নিয়েও কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয়ের বাজেট নিয়ে সংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে একটু ক্ষোভ আছে দেখেছি। বাজেটের বিষয়বস্তু ঠিক মতো অনুধাবন করলে যেটি আছে আমাদের জন্য যথেষ্ট, ভালোই আছে। বরাদ্দ যদি প্রয়োজন হয় তবে রিভাইজ বাজেটে বেশি বরাদ্দ আনতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আমরা একটা বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি সেটি হলো- ঢাকা অপেরা হাউজ হবে। এটা প্রায় ৬-৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট। ডিপিপি প্রণয়ন হয়ে গেছে, কাজ চলছে। এছাড়া আমরা প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সংস্কৃতিক কেন্দ্র করতে চাই। যে

ন্দ্রটিতে ৪০০ আসনের একটি অডিটরিয়াম থাকবে। একটি মুক্ত মঞ্চ থাকবে। আড়াইশ আসনের একটি সিনে কমপ্লেক্স থাকবে। একটি ক্যাফেটেরিয়া থাকবে, বাসার জায়গা থাকবে। ইতোমধ্যে ডিপিপি প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণগ্রন্থাগারের অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। সেটিও প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বাজেট। কপিরাইট ভবন নির্মিত হচ্ছে। রোজ গার্ডেনে একটি জাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। ময়মনসিংহে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সংগ্রহশালার জায়গায় একটি সাংস্কৃতি বলয় নির্মাণের চেষ্টা করছি।’

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031