হাইকোর্ট ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । একইসঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডে যথাযথভাবে এডিস মশার ওষুধ স্প্রে করার পর দুই সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) বায়ুৃ দূষণ রোধে করা রিট আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে আগামী ১৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
বায়ুদুষণ রোধের রিটের শুনানিতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে আলাদা দুটি প্রতিবেদনে ডেঙ্গু রোধে সচেতনতা বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয়।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রভাবতো অনেকখানি বেড়ে গেছে। এমনকি অর্থমন্ত্রীও ডেঙ্গুর কারণে বাজেট পেশ করতে পারেন নাই। এছাড়া, আরো অনেক মন্ত্রী এমপি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বিচার বিভাগেরও অনেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। শত শত মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। এটা তো মহামারি আকার ধারণ করছে। আপনারা কি ওষুধ দিচ্ছেন? তাতে তো নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। গত ২৬ জুন যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আদালতকে অবহিত করবেন। ওই পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে শেষ হবে কিনা সেটা নিশ্চিত করবে কে? পরে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের আগের একটি নির্দেশনা অনুযায়ী আজ (সোমবার) সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রিপোর্ট দাখিল করা হয়। ওই রিপোর্টে ডেঙ্গু রোগবাহি এডিস মশা নিধনে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে অনেকগুলো নির্দেশনার ব্যাপারে তারা বলেছেন, ওষুধ ছিটানোর জন্য প্রত্যেকটা ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়াতে উঠান বৈঠক করার কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কমিটি করা হয়েছে।
