নোয়াখালের ওপর গড়ে ওঠা ১৮টি অবৈধ স্থাপনায় আঘাত হানলো অভিযান দল খালের পাড়ে উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে নগরের । অভিযানে খালটির প্রায় ৪০০ মিটার জায়গা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল বুধবার বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খালটির একটি অংশে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে দুইতলা ২টি, একতলা ১টি ও ২টি গোডাউন। এদিকে উচ্ছেদ কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের অভাবে গতকাল পুরো কার্যক্রমে প্রভাব পড়ে। তবে হাতুড়ি নির্ভর শ্রমিকরা স্থাপনাগুলোর দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে নিজের কার্যক্রম শেষ করে।
আজ বৃহস্পতিবার একই খালের পাড়ে আবারো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ মাঈনুদ্দিন। জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী, সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন জানান, অভিযানে দ্বিতীয় দিন নোয়াখালের ওপর গড়ে ওঠা ছোট-বড় মিলে ১৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে বহুতল-সেমিপাকা ঘর ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছিল। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের পর অবৈধভাবে দখল হওয়া খালটির প্রায় ৪০০ মিটার জায়গা উদ্ধার হয়েছে। আহমেদ মাঈনুদ্দিন আরও বলেন, বৃহস্পতিবার নোয়াখালের আরেকটি অংশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে। জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এসব খালের ওপর প্রায় ১৬শ’ স্থাপনা রয়েছে। অভিযান চলবে আগামী দুই মাস। এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজখালী খালের ২৬টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে ১ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়। ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্র কল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
