সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রামকে গ্রিন, ক্লিন ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নাগরিকদের পাশে চেয়েছেন। এসময় তিনি নগরবাসী সহযোগিতা করলে চট্টগ্রামকে সত্যিকারের বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন। মেয়র বলেন, নিরাপদ, বাসযোগ্য, পরিষ্কার ও সবুজ নগরী হিসেবে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম দৃশ্যমান হচ্ছে। আমার প্রত্যাশা- উন্নত দেশের সমৃদ্ধ নগরের মতো চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা। এ কাজে নগরবাসীর সহযোগিতা চাই। তারা পাশে থাকলে এটা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, নগরবাসীকে আমি সেই স্বপ্ন দেখাতে চাই, যেটা বাস্তবায়ন করতে পারব। এমন স্বপ্ন দেখাব না, যেটা বাস্তবায়ন করতে পারব না।
গতকাল দুপুরে নগরীর এসএস খালেদ রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দায়িত্ব পালনের চার বছর পূর্তিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ২১নং জামাল খান ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মেয়রের কাছে স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং নিজেদের মতামত দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জলাবদ্ধতা, যানজট, অবৈধ বাজার ঘিরে চাঁদাবাজি, হকার, ডেঙ্গু ও মশক নিধন, ছেলে ধরা নিয়ে গুজব এবং বিভিন্ন নাগরিক দুর্ভোগ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এবং মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি। উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্যানেল মেয়র হাসান মাহমুদ হাসনী, চসিকের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী এবং মেয়রের পিএস আবুল হাশেম।
জলাবদ্ধতা :
অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ছিল জলাবদ্ধতা নিয়ে। শুরুতে রুমকি সেন গুপ্ত নামে এক মহিলা বলেন, ‘আমি জেএম সেন হলের পাশে থাকি। সেখানে আগে কখনো জল দেখিনি, এবার দেখেছি।’ আরেক নাগরিক অভিযোগ করেন, আগে পানি না উঠলেও এখন বিমান অফিসের পেছনে পানি উঠছে। এখানে টাইলসের দোকানের ময়লা ফেলা হয় নালায়। ফারজানা নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার বাসায় যাওয়ার সময় বড় নালা আছে। ওটা বছরের পর বছর ময়লাভর্তি থাকে। সেজন্য সেখানে পানি জমে। গত সপ্তাহে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনকে বলেছি। তিনি বলেছেন, এটা আমাদের নয়; সিডিএ’র কাজ। সিডিএ’তে বলেছি, তারা বলছে এটা সিটি কর্পোরেশন করবে। এভাবে হলে কোথায় যাব?’
জবাবে মেয়র বলেন, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছে, কুশল বিনিময় হয়েছে। এ সমস্যার কথা তো বলেননি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল নগরবাসী দ্রুত জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। তাই সিডিএ যখন জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প নেয় তখন বলেছি শতভাগের বেশি সহযোগিতা করব। সিডিএ’র প্রকল্পে ৩০২ কিলোমিটার নালা পরিষ্কারের বিষয় আছে। সিডিএকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে ও মৌখিকভাবে বলেছি কোন ৩০২ কিলোমিটার সেকেন্ডারি নালার কাজ তারা করবে সেটা জানাতে। তাহলে বাকিগুলো আমরা করব। একটা প্রকল্প এক প্রতিষ্ঠান নিলে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাজ করার কোনো সুযোগ থাকে না। ওভারলেপিংয়ের সুযোগ নেই। এসময় সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যানকে ইঙ্গিত করে মেয়র বলেন, রহস্যজনক কারণে দায়িত্ব ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বলে যাননি। মেয়র প্রশ্নকারী ফারজানাকে বলেন, কাউন্সিলর হয়ত আপনাকে বুঝিয়ে বলেননি। সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এটা দায়িত্ব এড়ানো নয়, আইনগত সীমাববদ্ধতা। মেয়র আজ বিমান অফিসের জলাবদ্ধতার বিষয়টি সরেজমিন দেখারও ঘোষণা দেন।
মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন অতীতে সব পরিকল্পিতভাবে হয়েছে সেটা বলতে পারছি না। অপরকল্পিত নগরায়নের কুপ্রভাব আমরা ভোগ করছি। অপরিপূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের কাজে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নগরবাসী সচেতন ও দায়িত্বশীল হলে সমস্যা ধারাবাহিকভাবে সমাধান সম্ভব হবে।
যানজট নিয়ে করা অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কোনো পরিকল্পিত নগর নয়। যদি হত তাহলে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা থাকত। কোন ওয়ার্ডে কত স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল থাকবে সেভাবে নির্ধারিত থাকত। এভাবে যানজটসহ নানা সমস্যা হত না। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন অনুমোদন দেয় সিডিএ, পাঠের অনুমোদন দেয় শিক্ষামন্ত্রণালয়। তবে স্কুলগুলো যদি চায় তাহলে আধঘণ্টা আগে ছুটি দিতে পারে। স্কুলের সামনে যে গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে থাকে মূলত সেগুলোর জন্যই যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক বিভাগকে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ :
জামাল খান এক নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম আহসানউল্লাহ খোকন বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত জামালখান সিঁড়ির গোড়ায় একটি বাজার বসে, যেখানে চাঁদাবাজি হয়। ভ্যান থেকে চারশ, মাছ বিক্রেতার কাছ থেকে তিনশ এবং তরকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে দেড়শ টাকা নেয়া হয়। পুলিশ একভাগ, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন একভাগ এবং নেতা এক ভাগ নেয়।’
তখন মেয়র বলেন, ‘আপনি ঢালাওভাবে কথা না বলে যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকে তাহলে বলেন। সিটি কর্পোরেশনের কে নিচ্ছে? নির্ভয়ে বলতে পারেন।
তখন খোকন বলেন, ‘আমি নির্ভয়ে বলেছি। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। আমরা হচ্ছি মন্ত্রী পরিবার। বুঝছেন? আমাদের ঘরে মন্ত্রী আছে।’ এসময় মেয়র সিটি কর্পোরেশনের কে নিচ্ছে তার নাম বলতে বললে খোকন বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন কর্মী। আমি চিনি। নাম আছে, পরিস্কার করে বলতে পারছি না। শাজাহান ওর নাম।’ খোকন আরো বলেন, আমাদের গলি দিয়ে প্রতিদিন এক লাখ মানুষ আসা যাওয়া করে। প্রতিদিন সেখানে ছিনতাই হচ্ছে। ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে।’
এরপর মেয়র বলেন, ‘আপনার বক্তব্য সত্য হলে সিটি কর্পোরেশনের যে নিচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনীতিবিদের কথা বলেছেন, রাজনীতিবিদ কারা নেয়? আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি, আমি নিই? আপনিও তো ওয়ার্ডের জয়েন সেক্রেটারি। জয়েন সেক্রেটারি হিসেবে কী ভূমিকা নিয়েছেন? আপনারও তো দায়িত্ব আছে। নগরীতে যত বাজার প্রযোজন তত নেই। আপনি না করলেও এখানে অনেকে হয়ত বাজার করেন। তবে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেব।
জামাল খান ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাংবাদিক প্রীতম দাশ বলেন, নগরীর জামলাখানসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে প্রকাশ্যে ছিনতাই-চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। এই অপরাধীদের অনেককে মেয়রের নাম ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, নাগরিক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে। আপনি সেসব অপরাধীরে বিরুদ্ধে নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করেছেন কিনা? কোনো সময় আমাকে (মেয়র) বা কাউন্সিলরকে জানিয়েছেন কিনা? অপরাধী যে-ই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাঁদলেন এক মহিলা :
রুমকি সেনগুপ্ত নামে এক নারী কেঁদে বলেন, ‘আপনার সামনে আমি আজকে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি সরাসরি, কিন্তু আপনার বাসা বা কর্পোরেশনে গেলে কথা বলতে দিবে না। অনেক বাধা-বিপত্তি। কেন স্যার? আপনাকে তো আমরা চিনি। আপনি তো আমাদেরকে স্নেহ করেন। কেন এত বাধা-বিপত্তি? আমার খুব খারাপ লাগে। খুবই অপমান করে, স্যার। খুবই অপমান।’
তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি গেছি, নানু (মেয়রের মা) বলেছেন, তুমি এতদিন পরে কেন? মানে তিনিও ফিল করেন আমাকে, আমি যেন যাই। আমি বলেছি, ডেকচির চেয়ে ঢাকনার গরম বেশি। তখন বলেছেন, না, না তুমি আসবে। আমি বলেছি, ভাবিও (মেয়রপত্নী) দেখতে পারেন, আপনিও দেখতে পারেন, কিন্তু আপনার বাসায় আসতে অনেক প্রতিবন্ধকতা।’
এসময় মেয়র বলেন, ‘আবেগের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমার জানা মতে, আপনি গত একমাস আগে আমার বাসায় গিয়েছেন, কর্পোরেশনে গিয়েছেন। যেসব কাজে, বিষয়ে গিয়েছেন শতভাগ আপনার কাজ আমি সম্পাদন করেছি। আপনি বলতে পারবেন না, আপনার একটা কাজ আমি করিনি। সবগুলোই করেছি। করিনি সেটা বলতে পারবেন না।’ মেয়র আরো বলেন, ‘আমার কাছে যতটা সহজে নগরবাসী আসতে পারেন, দেখা করতে পারেন আর কারো সঙ্গে পারেন না। সিটি কর্পোরেশনে যখন আসি, আপনাদেরকে বুঝতে হবে যে, মেয়রের নির্ধারিত কিছু দায়িত্ব আছে। মেয়র যদি এই দায়িত্বগুলো সঠিক সময়ে পালন বা সম্পাদন না করেন, তাহলে কর্পোরেশনের কাজের ক্ষেত্রে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে আসবে। প্রশাসনিক অনুমোদনটা কিন্তু আমাকেই দিতে হবে। কোনো একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব, কিন্তু এটা কতটুকু যৌক্তিক, এটা বোঝার মতো সময় আমাকে দিতে হবে, বলেন মেয়র।
অন্যান্য :
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহসীন কাজী বলেন, চীনের যেমন দুঃখ আছে, জামালখানেরও আছে দুঃখ-আর সেই দুঃখ ‘আসকারদীঘি’। দীঘিটির চারপাশ ঘুরলে ভেসে উঠে অন্যরূপ। ময়লা, দুর্গন্ধে থাকা যায় না। উপরন্তু দীঘিটিই হয়ে উঠেছে মশার প্রজননক্ষেত্র। এসময় মেয়র বলেন, ‘দীঘিটি আমাদের নয়, শওকত সাহেবের। আমি তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। তখন মহসীন কাজী বলেন, ‘যে সাহেব বা যে সংস্থারই হোক, দীঘিটি পরিষ্কার রাখতে হবে। এটি পরিষ্কার হলে জামালখানের সৌন্দর্য যেমন পূর্ণাঙ্গ হবে, তেমনি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারবে স্থানীয় বাসিন্দারা।’
মেয়র আরো বলেন, ‘গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও নিরাপদ যাত্রীসেবার লক্ষ্যে ১০০ এসি বাস নামানোর জন্য একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রাজি করিয়েছি। তারা এলসি খুলেছে। বিআরটিএ, সিএমপিকে অনুরোধ জানিয়েছি দ্রুত অনুমোদন দেওয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, চলতি অর্থ বছরে আমাদের আদায় ৪০ শতাংশ। মানে ৫৯ কোটি টাকা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ভর্তুকি মোট ৫৪ কোটি টাকা। হাতে থাকে ৫ কোটি। মাসে বেতন-ভাতা দিতে হয় ২০ কোটি টাকা। বছরে প্রশাসনিক ব্যয় আসে ২৬০ কোটি টাকা। নগরবাসীর কাছ থেকে যতটুকু সমর্থন পাওয়া দরকার তা পাই না।
যেখানে সেখানে ময়লা ফেললে জরিমানা আদায় প্রসঙ্গে বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। নিজে দাঁড়িয়ে জরিমানাও করেছিলাম। কিন্তু সেসময় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আমি নাকি নগর কিনে ফেলেছি। নগরীর শাসক হয়ে গেছি। মার্শাল ল’ জারি করেছি কিনা?’ এই ধরনের অপপ্রচারের কারণে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা নিক্ষেপকারীরে বিরুদ্ধে আপাতত ব্যবস্থা নেয়া বন্ধ রয়েছে বলে জানান মেয়র।
কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি বলেন, ‘চাওয়া-পাওয়ার অনেক হিসাব মেয়র মহোদয় মেলাতে পারেননি। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। এই সমস্যা দূর করার জন্য সিডিএকে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। এজন্য সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকেই জবাব দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিবন্ধকতার মাঝে মেয়রকে কাজ করতে হয়েছে। প্রথমে মনে হয়েছে তিনি গভীর মনের মানুষ। এখন উনার সাথে মিশেছি, উনি আসলে অসম্ভব সরল। আমরা নাছির ভাইকে সাথে নিয়ে আগামীতে কাজ করে যাব। তাকে আমরা আবারও মেয়র হিসেবে দেখতে চাই।’
কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চট্টগ্রাম চাই আমরা। আমরা চাই পরবর্তী প্রজন্ম সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক।’ জামালখানকে মডেল ওয়ার্ড উল্লেখ করে গত চারবছরে এই ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন করা বিভিন্ন উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন তিনি। x

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031