‘বুলবুল’ ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপে বঙ্গোপ সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সন্ধার পরে আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণিঝড় বুলবুল। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন। মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ৫৮টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে তিন হাজারের অধিক লোক আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে আশ্রায়কেন্দ্রে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে অধিকাংশ লোকজনই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে।

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় চরাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ন এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড় চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অধিকাংশ লোকজনই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে।

সাগর তীরবর্তী লোকজন প্রকৃতির সাথে লড়াই করতে করতে অনেকটা অভ্যস্থ। একারণে চরম পর্যায় না পৌছা পর্যন্ত অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র যেতে চাচ্ছেন না।
রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়াম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খাঁন জানান, তাদের এলাকার লোকজন পানি ও ঝড়ের সাথেই বসবাস করে থাকেন। দিনের বেলায় তাদের ভয় কম, এই কারণে লোকজন এখন সাইক্লোন সেল্টারে আসতে অনীহা প্রকাশ করছে। রাতের বেলায় লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসবে। তবে ইতোমধ্যেই বেরিবাঁধহীন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর কাশেম থেকে ২শ’ পরিবারকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তার এলাকায় ১৬ টি স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে।
রাঙ্গাবালী থানা অফিসার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ জানান, মহাবিপদ সংকেত উপেক্ষা করে যেসব জেলেরা মাছ শিকারে বেড় হয়েছিলো, শুক্রবার সকালে আমরা তাদেরকে নদী থেকে ফিরিয়ে এনেছি। এছাড়াও নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সন্ধার আগে আশ্রায় কেন্দ্রে না এলে তাদেরকে আসতে বাধ্য করা হবে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানিয়েছেন, রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৫৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। তাতে ইতোমধ্যে তিন হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। সন্ধ্যার পরে ঝড় আঘাত হানতে পারে তাই অনেকেই সন্ধ্যার দিকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসবে। তিনি আরও জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাছ ধরতে আসা কমপক্ষে ৫০ টি মাছ ধরা নৌকার জেলেদেরকে নদী থেকে জোড় করে তুলে দেয়া হয়েছে ।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031