হাইকোর্ট প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন ।
বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে আদালত থেকে বের হয়ে রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার বাদী ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান এবং আসামি ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এটা দুইজন আইনজীবীর মধ্যকার ব্যাপার।
দুইজন ইংলিশ বারের সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য। সুতরাং তাদের মধ্যে এই ভুল বুঝাবুঝির অবসান হওয়ার দরকার। বাদীর যে আশঙ্কা বা অভিযোগ তা নিরসন (মিটিগেট) করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখবেন। আদালত বলেছেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এই মর্মে অঙ্গীকার দিবেন যতই তাদের পূর্বে ভালো বন্ধুত্ব থাকুক, পারিবারিক সম্পর্ক থাকুক না কেন, (ব্যারিস্টার আতিকের) পরিবারের কোনো বিষয়ের মধ্যে কায়সার কামাল আর কোনো রকম ইন্টারফেয়ার করবেন না জেলখানা থেকে। এটা জেল সুপারের মাধ্যমে সিএমএম আদালতে দেবেন। আমরাও কায়সার কামালের পক্ষে এই অঙ্গীকারনামা দিয়েছি। পরে আদালত তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
জানা যায়, ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান নামে তারই এক কনিষ্ঠ আইনজীবীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ ডিসেম্বর রাতে কায়সার কামালকে আটক করে কলাবাগান থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি।
সেই মামলায় কায়সার কামালকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন। পরে আদালত তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
