আজ শুক্রবার ২১তম জাতীয় সম্মেলন শুরু ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের । রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত দুই দিনের এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবেন। এটা নিশ্চিত যে দলের সভাপতি পদে কোনো পরিবর্তন আসছে না। অন্যান্য পদ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে। দেশের সুপ্রাচীন এই রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে এবার দলের ঐতিহ্য অনুসরণ করা হবে, নাকি প্রধানমন্ত্রী চমক দেবেন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

দলের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের ৬৭ বছরের ইতিহাসে দেখা গেছে, বড় কোনো সমস্যা না হলে দলের সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার পুনর্নির্বাচিত করা হয়েছে। এটা অনেকটা ঐতিহ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। তবে এবার পরিস্থিতির কারণে মনে করা হচ্ছে যে হয়তো চমক আসতে পারে।

গত ১৯তম সম্মেলনের আগে থেকে নিশ্চিত ছিল যে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ স্বপদে থাকছেন। গতবারের সম্মেলনে তিনি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হচ্ছেন, নাকি নতুন মুখ আসছে, আলোচনায় এমন একটা টানাপোড়েন ছিল। শেষ মুহূর্তে এসে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর সংকেত পান বলে রাষ্ট্র হয়। কিন্তু এবার এখনো সে রকম কোনো অনুমান কেউ করতে পারছেন না। ওবায়দুল কাদেরের বিকল্প হিসেবে কয়েকজনের নাম আলোচনায় এলেও জোর দিয়ে একক কোনো নাম সামনে আসেনি।  ওবায়দুল কাদের থাকছেন, নাকি নতুন মুখ আসছে আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ পদে, সে তথ্য এখনো মেলেনি।

তবে অনেক নেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা দলের অতীত সম্মেলন ও সভাপতি-সম্পাদকের রেকর্ড সামনে আনেন। তাতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও ২০০২ সালের ১৭তম সম্মেলনে নির্বাচিত আবদুল জলিল ছাড়া আর সবাই একাধিকবার এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এই ধারাবাহিকতা হিসাবে নিয়ে তারা ধারণা করছেন এবার ওবায়দুল কাদের স্বপদে বহাল থাকছেন।

আর যদি সরকার ও দলের নেতৃত্ব আলাদা করার মতো চমক নিয়ে আসে সম্মেলন, তাহলে ওবায়দুল কাদের দলীয় পদ ছেড়ে দিতে পারেন বলে তাদের ধারণা।

আর তা হলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নির্বাহী কমিটির সদষ্য আজমত উল্লাহর নামও আসছে কারও কারও বক্তব্যে।

আওয়ামী লীগের নেতারা দেশের বিভিন্ন জেলা সম্মেলনের উদাহরণ দিয়ে বলেন, এবার বেশির ভাগ জায়গায় জেলা কমিটি গঠনে বর্তমান শীর্ষ নেতারা বিতর্কিত না হলে তাদের স্বপদে বহাল রাখার নীতি দেখা গেছে। জাতীয় কমিটিতেও সেই ধারা বহাল থাকবে। তবে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে বেশ কিছু নতুন মুখ আনবেন সভাপতি শেখ হাসিনা। বর্তমান কমিটির যোগ্য নেতাদের কারও কারও পদের উন্নয়ন হবে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন পর্যন্ত সভাপতি হয়েছেন মোট সাতজন। এর মধ্যে বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ আটবার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারবার, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তিনবার, আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দুবার এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও আবদুল মালেক উকিল একবার সভাপতি নির্বাচিত হন।

আর পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা ও পরে ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার নেতা হত্যাকা-ের পর দল যখন প্রায় নেতৃত্বশূন্য তখন ১৯৭৭ সালে দলের ১১তম সম্মেলনে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।

সাংগঠনিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এখন পর্যন্ত ৯ জন। দ্বিতীয় সম্মেলন থেকে গত ১৯তম সম্মেলন পর্যন্ত আটজনের মধ্যে একমাত্র আবদুল জলিল ছাড়া আর সবাই একাধিকবার এই পদে ছিলেন। সবচেয়ে বেশি চারবার করে দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমান। অন্যদের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমদ তিনবার, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দুবার করে।

দলে সাধারণ সম্পাদক পদের এই ধারাবাহিকতা থেকে দলের অনেক নেতা ধারণা করছেন, ওবায়দুল কাদেরের জায়গায় এবার নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা কম।

আর সরকার ও দলকে আলাদা সত্তা হিসেবে রাখার গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে দলের একাধিক নেতা জানান, এবার এই গুঞ্জন বাস্তবের মুখ দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর যদি তা হয়েই যায়, তাহলে ওবায়দুল কাদের দলের পদ ছেড়ে মন্ত্রিত্ব চালিয়ে যাবেন। তার মন্ত্রণালয়ের অধীন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেস হাইওয়ের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞের সমাপ্তি ও উদ্বোধনের অংশ হতে চাইবেন তিনি।

আওয়ামী লীগে এর আগেও একবার দল ও সরকারের নেতৃত্ব আলাদা করা হয়েছিল। ১৯৭৪ সালের ১০ম সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা দলীয় পদে থাকতে পারবেন না সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলের সভাপতির পদ ছেড়ে দেন।

সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার না হওয়ার সম্ভাবনার কারণ হিসেবে কয়েকজন নেতার ভাষ্য, তাকে দলীয় সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য গত দুই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, কিন্তু তা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দলে তার বিকল্প এখনো গড়ে ওঠেনি। সাংগঠনিক দক্ষতা আর মেধায় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন,একই সঙ্গে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। পাশাপাশি তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের মহাসড়কে। 

১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরার পর থেকে এখন পর্যন্ত দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৩তম জাতীয় সম্মেলনে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সেবার সাধারণ সম্পাদক হন আব্দুর রাজ্জাক। ১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাক দলত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

শেখ হাসিনার প্রায় ৩৯ বছরের নেতৃত্বকালে তার দলীয় সাংগঠনিক রানিংমেট হিসেবে মোট ছয়জন দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক নতুন দল গঠন করে আওয়ামী লীগ ছাড়েন ১৯৮২ সালে। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়া সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী পরের ১৪তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৫ থেকে ১৯তম সম্মেলনে নির্বাচিতদের মধ্যে জিল্লুর রহমান দুবার, সৈয়দ আশরাফ দুবার এবং আবদুল জলিল একবার আওয়ামী লগের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালের ১৭তম সম্মেলনে  সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া আবদুল জলিল ২০০৭ সালে এক-এগারোর সেনাসমর্থিত সরকারের সময় গ্রেপ্তার হয়ে নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন দলে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় দলের ১৮তম জাতীয় সম্মেলন। দল থেকে বাদ পড়েন এক-এগারোর বিতর্কিতরা। এ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০১২ সালে ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১৯তম জাতীয় সম্মেলনে।

একনজরে আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে জন্ম নেয়া পূর্ব পাকিন্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ পরে ১৯৫৫ সালের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে হয় আওয়ামী লীগ।

প্রথম জাতীয় সম্মেলন: সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।

দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন: ১৯৫৩ সালের ৩ থেকে ৫ জুলাই মুকুল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত। সভাপতি পুনর্র্নিবাচিত মাওলানা ভাসানী। প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান।

তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন: ১৯৫৫ সালের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর রূপমহল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত। মাওলানা ভাসানী আবার সভাপতি। স্বপদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন: ১৯৫৭ সালে ১৩ জুন আরমানিটোলার নিউ পিচকার হাউজে এবং পরদিন গুলিস্তান সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত। মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক। এই সম্মেলনের আগে দল থেকে পদত্যাগ করেন মাওলানা ভাসানী।

পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন:  অনুষ্ঠিত ১৯৬৪ সালের ৬ থেকে ৮ মার্চ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্র্নিবাচিত মাওলানা তর্কবাগীশ ও শেখ মুজিবুর রহমান।

ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন: ১৯৬৬ সালের ১৮ থেকে ২০ মার্চ হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত। সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমদ।

সপ্তম জাতীয় সম্মেলন: ১৯৬৮ সালের ১৯ থেকে ২০ অক্টোবর হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত। স্বপদে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদ।

অষ্টম জাতীয় সম্মেলন: ১৯৭০ সালের ৪ থেকে ৫ জুন হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত। আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

নবম জাতীয় সম্মেলন: ১৯৭২ সালের ৭ থেকে ৮ এপ্রিল ১১২, সার্কিট হাউজ রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত। এ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চতুর্থবারের মতো সভাপতি এবং জিল্লুর রহমান প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

দশম জাতীয় সম্মেলন: ১৯৭৪ সালের ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি ১১২ সার্কিট হাউজ রোডে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত। এ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার সদস্যরা দলীয় পদে থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়। বঙ্গবন্ধু দলীয় সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। সভাপতি হন এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

একাদশ জাতীয় সম্মেলন: ১৯৭৭ সালের ৩ থেকে ৪ এপ্রিল হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত। আহ্বায়ক নির্বাচিত হন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন।

১২তম জাতীয় সম্মেলন: ১৯৭৮ সালে ৩ থেকে ৫ মার্চ হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত। এতে সভাপতি আবদুল মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আবদুর রাজ্জাক।

১৩তম জাতীয় সম্মেলন: ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত। প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনা সভাপতি নির্বাচিত হন। আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক পুনর্র্নিবাচিত।

১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাক দলত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

১৪তম জাতীয় সম্মেলন: ১৯৮৭ সালের ১ থেকে ৩ জানুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত।  শেখ হাসিনা সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৫তম জাতীয় সম্মেলন:১৯৯২ সালের ১৯ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত। এ সম্মেলনে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ তিন বছর করা হয়। শেখ হাসিনা সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৬তম জাতীয় সম্মেলন: ২১ বছর পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন ১৯৯৭ সালের  ৬ থেকে ৭ মে আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্র্নিবাচিত হন শেখ হাসিনা ও জিল্লুর রহমান।

১৭তম জাতীয় সম্মেলন: ২০০২ সালে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত। সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল জলিল।

১৮তম জাতীয় সম্মেলন: ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত। শেখ হাসিনা স্বপদে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

১৯তম জাতীয় সম্মেলন: ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত। শেখ হাসিনা সভাপতি ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পুনর্র্নিবাচিত।

২০তম জাতীয় সম্মেলন: ২০১১৬ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত। সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031