liton20160615121657_116703

 ঢাকা ১৬ জুন : ফলশ্রুতিতে বাদ পড়েন দল থেকে। লিটন কুমার দাস ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার। এরই সুবাদে গেল বছর জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। এরপর হঠাৎ করেই ফর্ম হারিয়ে ফেলেন।  যে ঘরোয়া ক্রিকেট তার প্রিয় জায়গা, সেখানেও রান পাচ্ছিলেন না।

অবশেষে বুধবার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। ১৮ মাস পর দেখা পেলেন সেঞ্চুরির। এদিন মোহামেডানের ১০২ বল মোকাবেলা করে ১১ চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষপর্যন্ত ১৮ চার ও এক ছয়ে ১২৫ বলে ১৩৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে আরিফুল হকের বলে আউট হন।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে এই সেঞ্চুরিটাই ‘অন্যরকম’ বলে আখ্যায়িত করেন। পাশাপাশি সিনিয়র ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দিলেন লিটন কুমার দাস। ম্যাচ শেষ সাভারের বিকেএসপিতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানান তিনি।

বললেন, ‘গত বছর সেঞ্চুরি করেছি। রান অনেক করেছি। তবে এই মুহূর্তে এই সেঞ্চুরিটা আমার কাছে অন্য রকম। সেঞ্চুরি নয়, যদি পঞ্চাশও হতো তাও আমার কাছে মনে হতো মূল্যটা অনেক বেশি।’

বাজে সময়ে সিনিয়রদের অনুপ্রেরণায়ই তিনি পথ খুঁজেছেন। ‘ভালো করার পেছনে তাদের উৎসাহ অনেক ভূমিকা রেখেছে। আমি যতদিন ধরে রান পাচ্ছি না, তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। অনুশীলনে তারা আমাকে বুঝিয়েছে এভাবে না করে অন্য ভাবে করতে। আমি তাদের প্রসেসটা ফলো করার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়, আমার এই সেঞ্চুরিতে আমার চেয়ে তারা বেশি খুশি।’

সমস্যা কোথায় ছিল-ধরতে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে লিটন বলেন, ‘একজন ব্যাটসম্যান যে শটে রান পায় সেগুলেই সে খেলার চেষ্টা করে। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে শটগুলোতে আমি পারফেক্ট ছিলাম না। এছাড়া শুধু শটই না, ইতিবাচক মানসিকতার অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। যা আমার টিমমেটরা দিয়ে যাচ্ছে। দুই ম্যাচ আগেও আমি ৭ নম্বরে ব্যাটিং করেছি। তারা চেয়েছে আমি কিছু রান করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে পারি। আমার মনে হয়, ওই আত্মবিশ্বাস থেকে এতো বড় কিছু হয়েছে।’

এছাড়াও বাজে সময়ের কথা স্মরণ করে লিটন বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই রানের খরায় ছিলাম। শেষ ম্যাচেও মোটামুটি কিছু রান ছিল আমার, কিছু ভুলের জন্য আউট হয়ে গেছি। আমি চেষ্টা করেছি। সুযোগ পেয়েছি সে সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আর একজন ব্যাটসম্যানের লক্ষ্যই থাকে রান করা। ইনিংস শেষে যখন স্কোরবোর্ডে আমার বড় একটা রান তখন নিজের কাছেই ভালো লাগে।’

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031