1c5d36f2774133de36b442fed14f17beঢাকা ১৭ জুন:এই দশ দিনে আল্লাহ পাক মানুষের অনেক অনেক গুনাহ মাফ করেন।মাহে রমজানের প্রথম দশ দিন রহমতের, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফেরাতের এবং তৃতীয় দশ দিন হলো জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভের। রহমতের দশ দিন শেষে আজ থেকে শুরু হয়েছে মাগফেরাতের দশ দিন।

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহকে স্মরণকারী ব্যক্তিদের রমজান মাসে ক্ষমা করা হয়। আর আল্লাহ তা‘য়ালার দরবারে প্রার্থনাকারী ব্যক্তি বঞ্চিত হন না।’ অন্য হাদিসে পাকে রাহমাতুল্লিল আলামীন হযরত মোহাম্মদ (.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর আরশ বহনকারী ফেরেশতাগণকে আদেশ দেন, তোমাদের কাজ, তোমাদের ইবাদত বন্ধ রাখ এবং সিয়াম পালনকারীদের দোয়ার সময় আমীন আমীন বলতে থাক।

ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.) রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব বুঝাতে ইরশাদ করেছেন, ‘যদি কোনো মানুষ সারাজীবন সিয়াম সাধনা করে তবুও পবিত্র রমজানুল মোবারকের ফজিলত পাবে না। মাহে রমজানের রোজা না থাকার ক্ষতি কোন অবস্থাতেই পূরণ হবে না।’ শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জনের জন্য যে অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় এই একাধারে সিয়াম সাধনা, মানুষকে বেহেস্তি সওগাত লাভের উপযুক্ত করে তুলে। সর্বোপরি আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয় রমজানের রোজা। কোনো ধরনের অবহেলা বা গাফেলতীতে যদি রমজানুল মোবারকের অতুলনীয় বরকতপূর্ণ মুহূর্তগুলো আমাদের কাছে হারিয়ে যায়, তবে তা হবে দুর্ভাগ্য ও এক অমার্জনীয় অপরাধ।

হযরত ইমাম নখরী (.) বলেছেন, যদি কোন মুসলিম শরীয়ত সম্মত ওজর ব্যতীত সিয়াম পালন না করে, পরে এক হাজার বছর রোজা থাকলে তবুও মাহে রমজানের রোজার ক্ষতিপূরণ হবে না।

আল্লাহ আমাদের এই পবিত্র মাসের রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031