
চট্টগ্রাম ১৭ জুন : শুক্রবার(১৭ জুন) বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও মিছিল সমাবেশ পালন করে তারা। সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা বন্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন. মিছিল ও সমাবেশ করেছে ২৩টি সংগঠন।
শারদাঞ্জলি ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অজিৎ কুমার শীলের সভাপতিত্বে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক পিয়াল শর্ম্মার সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তপন কান্তি ।
তিনি বলেন,সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে।তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা হিন্দুদের বিভিন্ন মঠ মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত কোন হত্যাকারী হামলাকারীদের বিচার হয়নি।
তিনি প্রত্যোক সংখ্যালঘুকে নিজ নিজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার আহবান জানিয়ে বলেন।সরকার জনগনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার জনগনকে নিরাপত্তা দেওয়ার সময় অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে, আমাদের নিরপত্তা আমাাদের দিতে হবে”
“সরকার যদি খুনিদের গ্রেফতার না করে তাহলে আগামী ঈদের পর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অচল করে দেওয়া হবে।আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে ঢাকা চট্টগ্রামে অবরোধ করে সমাবেশ করবো, বলেন তিনি।
তপন কান্তি আরো বলেন, “মুসলিম শান্ত প্রিয় ভাইয়েরা আমাদের সংগ্রাম আপনাদের জন্য নয় । সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু আমাদের নয় মুসলিমদের ও নিরাপত্তা দিতে পারছেনা। মুসলিমদের রাস্ত ঘাটে হত্যা করা হচ্ছে নির্যাতন গুম করা হচ্ছে।ৎ”
সভাপতির বক্তব্যে অজিৎ কুমার শীল ৫টি দাবি পেশ করেন। এগুলো হচ্ছে, পুর্ণাঙ্গ সংখ্যলঘু বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা করা,স্বাধীন সংখ্যলঘু কমিশন গঠন করা,সংখ্যালঘুদের মট মন্দির,ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে শাস্তির ব্যবস্থা করা,ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নাম ধর্ম ও সম্প্রীতি মন্ত্রণালয় করা এবং জাতীয় স্থানীয় রাজনীতিতে সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়ন করা।
মানববন্ধনে ইসকন চট্টগ্রাম সম্পাদক দারুব্রক্ষ জগন্নাথ দাশ,হিন্দু মহাজোটের আশুতোষ দত্ত,আন্দরকিল্লা গুরুধাম মন্দিরের নির্মল চন্দ্র,শ্যামল দাশ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কারী কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, মিছিল সমাবেশ ও মানববন্ধনের জন্য প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে, পরে মানববন্ধন মিছিল সমাবেশ শেষে রাস্তা ছেড়ে দেওযা হয়।
