বাংলাদেশ লিটন দাসের ১৭৬ ও তামিম ইকবালের ১২৮* রানের ইনিংসের উপর ভর করে জিম্বাবুয়েকে পাহাড় সমান লক্ষ্য দিলো। শুক্রবার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২২ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। কিন্তু ডি/এল পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৩৪২ রান। জিম্বাবুয়েকে এই রান করতে হবে ৪৩ ওভারের মধ্যে।
সিলেটে এদিন অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন তামিম ও লিটন। প্রথমত, ১৭৬ রানের ইনিংস খেলে লিটন হয়ে গেছেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের মালিক। ১৪৩ বলে ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৬ রান করে আউট হন লিটন। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে লিটন করেছিলেন ১২৬ রান। ওয়ানডেতে লিটনের এখন সেঞ্চুরির সংখ্যা তিনটি।
গত ৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ১৫৮ রান করে নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন। ওই ইনিংস খেলার পর তিনি হয়ে গিয়েছিলেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের মালিক। কিন্তু তার এই রেকর্ড তিন দিনও টিকল না।
এদিন তামিম ও লিটনের ২৯২ রানের জুটিতে হয়েছে আরেকটি বড় রেকর্ড। ওয়ানতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে এর রানের জুটি গড়তে পারেনি কেউ। এর আগে ২২৪ রান করে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-রিয়াদ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, তামিম এদিন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছেন। ১০৯ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকনে তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ১৩তম সেঞ্চুরি। এর আগে গত ৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম করেছিলেন ১৫৮ রান।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় সফরকারীরা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকেন তামিম-লিটন। ৩৩.২ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নেমেছিল। প্রায় তিন ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ওভার কমিয়ে ৪৩ ওভার করা হয়। বৃষ্টির আগেই সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। বৃষ্টির পর করেন তামিম।
৪১তম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং-অনে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ হন লিটন। এরপর রিয়াদ নেমে মাত্র ৩ রান করে এলবিডব্লিউ হন। ইনিংসের শেষ বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ-মিডউইকেটে ক্যাচ হন আফিফ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে কার্ল মুম্বা ৩টি উইকেট নেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৬৯ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাই টাইগাররা যদি আজ জিততে পারে তাহলে জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ইনিংস: ৩২২/৩ (৪৩/৪৩ ওভার)
(তামিম ১২৮*, লিটন ১৭৬, মাহমুদউল্লাহ ৩, আফিফ ৭*; মুম্বা ৩/৬৯, টিশুমা ০/৪৮, সিকান্দার ০/৬৪, মাধিভেরে ০/২৯, তিরিপানো ০/৬৫, উইলিয়ামস ০/৪৬)।
