খিলগাঁও ও রামপুরা থানা এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। ‘ ‘কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত, কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত, কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য, নির্মমতা কতদূর হলে …আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া, করিতে পারিনি চিৎকার, বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার…

নিয়তির ডাকে দিলি যে সাড়া, ফেলে গেলি শুধু নীরবতা, যার চলে যায় সেই বোঝে যে হায়, বিচ্ছেদে কি যন্ত্রণা, অবুঝ শিশুর অবুঝ প্রশ্ন, কি দিয়ে দেব সান্ত্বনা… বিধাতা তোমারে ডাকি বারেবারে, কর তুমি মোরে মার্জনা, দুঃখ সইতে দাও গো শক্তি, তোমারি সকাশে প্রার্থনা’

হায়দার হোসেনের এই গানটি শুনলে গায়ের লোমে কাটা দিয়ে ওঠে। এইগানে মানবিকতার বুকফাটা আর্তনাদ প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু আমরা কী মানবিক হতে পেরেছি? বিদায় বেলায়ও আমরা কতটা নির্দয়!

এমনি একটি নির্দয় অনুরোধ করা হয়েছে খিলগাঁও এর তালতলা কবরস্থানে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল -৩-২৩ নং ওয়ার্ড কবরস্থানের প্রধান ফটকে একটি অনুরোধের ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে-‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র মহোদয়এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আকুল আবেদন।

সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ‘করোনা ভাইরাসে’ আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের লাশ খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানের পরিবর্তে ঢাকার বাহিরে বা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে দাফন করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

বেঁচে থাকার আশায়, নিরাপদ থাকার আশায় সতর্কতামূলক চিন্তা থেকেই এই কথা লিখে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা কতটা নিজেদের নিরাপদ রাখছি? আমরা কী আসলেই খুব সচেতন হয়েছি?

আসুন সবাই ঘরে থাকি। করোনাভাইরাসের মহামারি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিই। নাহলে হয়তো আমি আপনি বা আমার আপনার নিকট আত্মীয় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তখন তার জন্য বুকফাটা আর্তনাদ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না।

করোনা ভাইরাস রোধে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলি। বারবার হাত ধুয়ে ফেলি। নিজেকে ঘরে আবদ্ধ রাখি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031