বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) তরুণদের উদ্যোগে অর্থায়নের জন্য বাজেটে পুনরায় বিশেষ তহবিল গঠনের আহবান জানিয়েছে । সংগঠটি আবেদন করেছে সুষ্ঠু নীতিমালা প্রনয়নের মাধ্যমে এ অর্থ বিতরণসহ বিনা জামানতে সর্বনিম্ন সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এবং সরকারের বিভিন্ন মহলে প্রস্তাবনা পাঠিছেয়েছে।

বুধবার বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, বিসিআই মনে মনে করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে একটি দক্ষ ও কর্মঠ যুবসমাজ তৈরি করতে প্রতি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে স্বল্প ও অদক্ষ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

বিসিআইয়ের বিভিন্ন প্রস্তাবনার মধ্যে আরও রয়েছে , রপ্তানি বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে বিশেষ করে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে চিহ্নিত করে খাত দুটির উন্নয়নে বিশেষ শুল্ক কর সুবিধা প্রদান, ২০ কর্মদিবসের মধ্যে সব ধরনের ইউটিলিটি সংযোগ প্রদান এবং রেয়াতি হারে সংযোগ ও সরবরাহের সংস্থান, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ন্যূনতম পাঁচ বছর কর অবকাশের পরিবর্তে বিশেষ কর সুবিধা প্রদান করা।

ওই দাবির তালিকায় আরো রয়েছে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শতকরা ৫ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শ্রমিক নিয়োগ করলে বিশেষ কর সুবিধা, প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নের জন্য সব ধরনের বিনিয়োগে বিশেষ কর সুবিধা, স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সব ধরনের বিনিয়োগ করমুক্ত রাখা, অপ্রচলিত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ কর সুবিধা ও নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা, ক্ষুদ্র শিল্প ও নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে খাতভিত্তিক যৌথ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা প্রদান, রপ্তানি পণ্য প্রস্তুত করতে আমদানীকৃত এবং দেশীয় উপকরণের ওপর পরিশোধিত সব শুল্ক ও কর মওকুফ গণ্য করে ফেরত প্রদান।

সংগঠনটি মনে করে, শিল্প ক্ষেত্রে মূসক ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশী। শিল্প খাত রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মূদ্রা আয় এবং আমদানি হ্রাসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে দেশের অর্থনীতিতে অধিক ভূমিকা রাখে তাই তাদের প্রণোদনা দেয়া।

উন্নয়নশীল দেশগুলোয় করমুক্ত আয়সীমা সাধারণত মাথাপিছু আয়ের সমান বা এর কম হয়ে থাকে উল্লেখ করে সংগঠটি প্রস্তাব করেছে, বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা দ্বিগুণের মতো। তাই করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা।

এছাড়া সংগঠনটি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের উন্নয়ন, আমদানি শুল্ক মওকুফ, মূসক রহিতকরণ, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও করমুক্ত আয়সীমা কমিয়ে আনার বিষয়ে বেশকিছু প্রস্তাব করবে। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচামাল আমদানিতে উৎসে কর প্রত্যাহার এবং উৎপাদিত পণ্যের ওপর উৎসে কর প্রত্যাহার, সব মূসক নিবন্ধিত শিল্প প্রতিষ্ঠানে মূসক ফরমে ঘোষিত মূলধনি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের ওপর আরেপিত ১ শতাংশ অতিরিক্ত সব ধরনের শুল্ক-কর মওকুফ করা।

অন্যদিকে মূলধনি যন্ত্র আমদানি পর্যায়ে যেহেতু মূসক অব্যাহতি দেয়া আছে, সেহেতু স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মূলধনি যন্ত্রের ওপর মূসক আরোপ বাতিল করার প্রস্তাব করছে সংগঠনটি। তারা মনে করছে, এনবিআরের আয়কর, মূসক ও শুল্ক সম্পর্কিত সব অভিযোগ, বিরোধসহ মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031