যুক্তরাষ্ট্রেও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস । দিন যতই যাচ্ছে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার ততই বেড়ে চলছে। প্রতিনিয়ত নিহতের সারিতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটিকে।

গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বুধবার একদিনে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ২২৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪৭ জনে।

এছাড়া বুধবার দেশটিতে নতুন করে ১১ হাজারের বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৮ হাজার ৫৭১ জনে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চীন ও ইতালির পর এখন এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।

গত বছরের শেষ দিন চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে ভয়াবহ আকার ধারণ করার পর চীনের ভূখণ্ড পেরিয়ে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। প্রায় ১৯০টির মতো দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। প্রতিদিনই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাজারো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা চীনে এবং সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। মারাত্মক ছোঁয়াচে এই ভাইরাসের শিকার হয়ে চীনে সরকারি হিসেবে মারা গেছে তিন হাজার ২৮১ জন। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। সেখানে সাড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

চীন এবং ইতালির পর এখন সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই।

দেশটিতে একদিনেই নতুন করে আরও ১১ হাজার ১৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৫৭১ জন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করায় আক্রান্তের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। দেশটির নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার আটশোরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, বৈশ্বিক মহামারির পরবর্তী কেন্দ্র হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ইতালির মতোই ভয়াবহ চিত্র হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। সেখানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

সে কারণেই নিউ ইয়র্কে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রশাসন। নিউ ইয়র্ক মেট্রো অঞ্চল থেকে বের হয়ে অন্য কোন অঙ্গরাজ্যে গেলে প্রত্যেককে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031