জনসমাগম এড়িয়ে চলাই প্রধান উপায় বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে । এজন্য ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশ কার্যত অচল। খুব বেশি খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে বারবার। তবে এই নির্দেশনা মানার তেমন কোনো আলামত দেখা গেল না ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে। করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করেই বাজারে ভিড় জমেছে ক্রেতাদের।

বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান হাজী জয়নাল আবেদিন কাঁচাবাজার, নবোদয় হাউজিং কাঁচাবাজার ও আদাবর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

ঢাকা উদ্যান হাজী জয়নাল আবেদিন কাঁচাবাজারে দেখা যায়, বাজারের ভেতর ও বাইরের অংশ আগের মতোই জমজমাট। বিক্রেতারা অন্যান্য দিনের মতো পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন, আর স্বাভাবিক দিনের মতো এসেছেন ক্রেতারাও।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের জন্য গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে নাগরিকদের। আর প্রয়োজনের ক্ষেত্রেও একাধিক ব্যক্তি একত্রে চলাচল করতে পারবেন না। সবাইকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাবসসহ নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরতে বলা হয়েছে।

যদিও এর প্রয়োগ দেখা যায়নি পুরো বাজারে। বিক্রেতারা আর ক্রেতাদের মধ্যে দুই-চারজন মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশিরভাগ মানুষই তা ব্যবহার করছেন না। বাজারে চলাচল করছেন ভিড় ঠেলে। যা বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপযোগী পরিবেশ।

একই চিত্র দেখা গেছে নবোদয় হাউজিং কাঁচাবাজারে। এখানে বাজারের মূল অংশে ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক। প্রয়োজনের তুলনায় চলাচলের জায়গা কম থাকায়, একে অন্যন্য ধাক্কা দিয়েই চলতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিক্রেতাদের হাতে নেই কোনো গ্লাবস, মুখে নেই মাস্ক। বাজার করতে আসা ক্রেতাদের বেশির ভাগেরই একই দশা। একজনের কাছে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি মাস্ক পরতে পারি না। দম বন্ধ হয়ে আসে।‘

একই অজুহাত অনেকেরই। বিক্রেতাদের অজুহাত, মাস্ক পরলে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে অসুবিধা হয়।

এদিকে ছবি তুলতে গেলে পকেট থেকে মাস্ক বের করে তা মুখে পরেছেন অনেক বিক্রেতাই।

বাজারের বাইরের অংশে দেখা গেল বাজারসংশ্লিষ্ট মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াত। প্রতিদিনের মতো ভিড় না থাকলেও লোক সমাগম একেবারেই কম না। আবার মূল বাজারের বাইরে সড়কে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকানিরাও কোনো ধরনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম না পরেই বিকিকিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। নিরাপত্তার ভাবনা নেই ক্রেতাদের মাঝেও। এধরনের অনিরাপদভাবে বাজারে বেচাকেনার তথ্য পাওয়া গেছে, আদাবর বাজার, রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন বাজার থেকে। (ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/কারই/জেবি)

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031