ইতালি চীনের হুবেই প্রদেশে সৃষ্ঠ নোভেল করোনা সেখানে নিজের বিস্তার ঘটাতে না পারলেও পৃথিবীর জন্য ক্রমশই যেন জমদূতে পরিণত হচ্ছে। তাই এর ভয়াল থাবা চীনকে ছাড়িয়ে গেছে , যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ফ্রান্স। এই চারটি দেশই আক্রান্ত রোগী আর মানুষের মৃত্যু চীনকে ছাড়িয়ে গেছে।
চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ইতালিতে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৪ হাজার ৬৮১ জন।দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোন আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ জন। এই ভয়াবহ প্রাণহানি ইতালিকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধসহ পুরো দেশটি লক ডাউন করা হয়েছে বেশ আগেই।
ইতালির পর করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রাণহানি হয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেন’য়ে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ১৯৮ জন মানুষের, আর মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯৯ জন। স্পেনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৬ হাজার ৪১৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
করোনা আক্রান্তের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন মুল্লুকে। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৭ হাজার ৩৯২ জন মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। আর মার্কিন মুল্লুকেই সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৬১ জন। ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৮৭ জনের অবস্থা বেশি শোচনীয়।
করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যু কোনোভাবেই কমছে না ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে। মৃত্যুও ভয়বহতা মার্কিনিদেরও পরেই রয়েছে দেশটি। ফ্রান্সে করোনায় মারা গেছেন ৬ হাজার ৫০৭ জন। দেশটির মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৪ হজার ৩৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩ হাজার ৮২৩ জন। এদের মধ্যে ৬ হাজার ৬৬২ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধসহ পুরো দেশটি লক ডাউন করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল খোদ চীনকেও ছাড়িয়ে যাওয়া চতুর্থ রাষ্ট্র যুক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৬০৫ জন। আর কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৬৮ জন। এর মধ্যে শুধু শেষ চব্বিশ ঘন্টায় মারা গেছে ৬৮৪ জন। সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৬৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
করোনায় বয়াবহতা ঠেকিয়ে দিয়েছে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৬২০ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩২২ জনের। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ৭৬ হাজার ৫৭১ জন। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ৭২৭ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ৩৭৯ জন।
গত তিনমাসের নোভেল কোরোনা (কোভিড-১৯) নামক এই ভাইরাসে সারা পৃথিবীতে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ হাজার ১৫৫ জন আর এই সময়ের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ১৫ জন। আর এদেও মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৫ জন। জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ৩৯ হাজার ২৫২ জন। আর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭ লাখ ৯৮ হাজার ১১৫ জন।
