প্রবেশ ও বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় জরুরি সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্যপণ্য ও রপ্তানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন ব্যতিরেকে সকল ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচল।
সোমবার রাত ১০টা থেকেই এ আদেশ কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
তিনি বলেন, মানুষকে বল প্রয়োগ করে আইন মানানো সম্ভব নয়। তাদের নিজেদরই সচেতন হতে হবে। লকডাউন আরো কঠোর করতে আমরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতীত সকল প্রকার দোকান, মার্কেট এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাইরে থেকে চট্টগ্রাম শহরে লোকজন প্রবেশ করছেন। এতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই আপাতত পাঁচটি প্রবেশপথ আমরা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পথগুলো হচ্ছে নগরীর শাহ আমানত সেতু, কালুরঘাট সেতু, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন মোড় এবং সিটি গেইট।
তিনি আরো বলেন, এসব প্রবেশপথ দিয়ে ওষুধ, খাদ্য ও জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে কাউকেই চট্টগ্রামে ঢুকতে ও বের হতে দেয়া হবে না। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
