করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকার ঘোষিত লকডাউনের এই সময়ে দুজন যৌনকর্মীকে বাসায় ডেকে এনে তাদের সঙ্গে রাতভর পার্টিতে মেতেছেন ম্যানচেস্টার সিটি ও ইংল্যান্ডের রাইটব্যাক কাইল ওয়াকার। করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। তবে মজার বিষয় হলো রাতভর পার্টি শেষে পরের দিন লকডাউন নিয়ে জনসচেতনতামূলক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন ওয়াকার। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি।
গত মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) নিজের বাসায় দুজন যৌনকর্মী ভাড়া করে আনেন ওয়াকার। তারা ছিলেন ২১ বছর বয়সী লুইস ম্যাকনামারা এবং ২৪ বছর বয়সী এক ব্রাজিলিয়ান কলগার্ল। ওয়াকারের এক বন্ধুও যোগ দেন পার্টিতে। রাতভর উদ্দাম পার্টি শেষ করে বুধবার সকালে ভিডিওবার্তায় সবাইকে ঘরে থেকে লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু আমন্ত্রিত এক যৌনকর্মীর মাধ্যমেই ইংলিশ ডিফেন্ডারের এই যৌন পার্টির খবর ফাঁস হয়ে যায়।
জানা গেছে, এক রাতের জন্য দুই যৌনকর্মীকে ২২০০ পাউন্ড (প্রায় আড়াই লাখ টাকা) প্রদান করেন ওয়াকার। এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল সাইটে ঝড় উঠেছে। তাকে ভণ্ড বলে অভিহিত করে লুইস বলেন, ‘ও তো একটা ভন্ড। একদিকে বলছে সবাইকে সচেতন থাকতে, অন্যদিকে অচেনা মানুষদের বাসায় ডেকে যৌন পার্টি করছে।’
এরপর যথারীতি ক্ষমা চেয়ে ওয়াকার বলেন, ‘ওই ঘটনার জন্য আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিৎ ছিল।’
তবে ক্ষমা চেয়েও পার পাবেন না ওয়াকার। ইংলিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কর্তৃপক্ষ। ক্লাব কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ফুটবলাররা বৈশ্বিক রোড মডেল। আমাদের ক্লাবের কর্মচারী-কর্মকর্তা, খেলোয়াড়রা যথাসম্ভব জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার কর্মীদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় ওয়াকারের কাজটি আমাদের সব চেষ্টায় জণ ঢেলে দিয়েছে। আমরা এই অভিযোগ শুনে হতাশ। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো এ বিষয়ে।’
