ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারীরা ব্যক্তি উদ্যোগে নিয়মবহির্ভুত লকডাউনে বাঁশ ও খুঁটি পুঁতে সড়ক আটকে দেয়ায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় । এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এসব অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে নিষেধ করেছে সরকার। সেই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন এলাকায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, পুলিশ, সাংবাদিক, ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসক, নার্স, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়িসহ অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ওষুধ, খাদ্য ও কাঁচামালবহনকারী গাড়িগুলোকে রাখা হয় এর আওতামুক্ত।
কিন্তু বিভিন্ন স্থানে বাঁশ ও গাছের ডালপালা ও গুড়ি ফেলে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সরকারের নির্দেশনার পরিপন্থী হচ্ছে। এ নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের পেশাগত দায়িত্বপালনে বাধার মুখে পড়ছেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, যেভাবে সড়ক আটকে রাখা হচ্ছে তাতে বাড়িতে আগুন ধরলেও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারবে না। এছাড়া অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া যাবে না। বিষয়টি নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে সমালোচনা। অনেকে বলছেন, পাড়া, মহল্লায় পানি ও খাড়যুক্ত সাবান দিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশকারীর হাত, মুখ ধুয়ে দিলেই ভাইরাস প্রতিরোধে তা যথেষ্ট।
ব্যক্তি বিশেষের উদ্যোগে গ্রাম-পাড়া-মহল্লার রাস্তা-ঘাট লকডাউন করা এসব এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার প্রবেশ মুখে বাঁশ পুতে সড়কগুলো স্থায়ীভাবে আটকে দেয়া হয়েছে। কোনো ধরনের গাড়ি চলাচলের সুযোগ রাখেনি তারা। বেশিরভাগ এলাকাতেই তরুণ এবং কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি দলবেঁধে আড্ডা দিচ্ছেন এবং মুঠোফোনে গেম খেলছেন। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রয়োজনে সরকারের নীতি নির্ধারকরা বা স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন করবে। দায়িত্বশীল কেউ ছাড়া লকডাউনের নেতৃত্ব দেয়া উচিত নয়। এতে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলাই বাড়ছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে যত্রতত্র লকডাউনের নামে রাস্তা অবরোধ করা যাবে না। আর অনেকেই কথা শোনে না। এই কারণে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে যদি গ্রাম-পাড়া-মহল্লার রাস্তা-ঘাট লকডাউন করতে চায় তা করতে পারবে। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে করতে হবে। কেউ স্থায়ীভাবে কোনো রাস্তা বন্ধ করতে পারবে না। জরুরি প্রয়োজনে যদি কেউ বাইরে যেতে চায় বা আসতে চায় সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবরুদ্ধ স্থানে সেচ্ছাসেবক থাকতে হবে।
