এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে ঠিকমতো চিকিৎসা না পেয়ে রাজধানীর মিরপুরে। মো. জিসান সরদার নামের ছেলেটি আজ শুক্রবার সকালে মারা যায়।

জিসান সরদার শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার সাইখ্যা গ্রামে জামান সরদারের ছেলে। সে রাজধানীর পীরেরবাগের আলিম উদ্দিন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

জিসান সরদারের বাবা জামান সরদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রায় ছয় বছর আগে আমার ছেলের খিচুনি রোগ হয়। এতে তার মুখ থেকে লালা বেরিয়ে যেত। আড়াই বছর আগে সে একবার এই রোগে আক্রান্ত হয়। তখন তাকে শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। গত ২ এপ্রিল জিসান আবারও এই রোগে আক্রান্ত হয়। পরে তাকে সহরোওয়র্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাকে একপাতা ওষুধ লিখে ভর্তি না করে ছেড়ে দেন।

তিনি বলেন, এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার জিসান আবারও অসুস্থ হলে তাকে আবারও সহরোওয়ার্দী হাসপাতালের শিশু বিভাগের তিন তলায় নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ইসিজি ও ইইজি নামের দুইটি পরীক্ষা করতে দেন। সহরোওয়ার্দী হাসপাতালে ইসিজি করা গেলেও ইইজির ডাক্তার না থাকায় পরীক্ষা করাটি করাতে পারিনাই।

‘এরপর ইইজি পরীক্ষাটি করানোর জন্য পপুলার ও ইবনেসিনা হাসপাতালে যাই। কিন্তু সেখানে মেশিন থাকলেও ডাক্তার না থাকায় পরীক্ষাটি করাতে না পেরে বিকালের দিকে বাসায় চলে আসি। ‘

জামান সরদার বলেন, এরপর আমি আইইডিসিআরের একটি নম্বরে ফোন করলে সেখানকার একজন মহিলা চিকিৎসক আমার সব কথা শুনে আজকে শুক্রবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পরে আমি কারওয়ানবাজারে আসি আমার কাজে। সেখানে রাত ১২ টার দিকেও আমার ছেলের সাথে ইমোতে কথা বলি। এরপর আজ শুক্রবার সকালে ছেলে মারা যায়।

এ বিষয়ে জানতে সহরোওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমার বড়ুয়ার মুঠোফোনে একাধিকার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ধরনের খবর আমি শুনি নাই। তবে আমি এখন সহরোওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে ফোনে কথা বলব।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031