গাজীপুরে দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। জেলায় ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর রবিবার তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে জেলা সিভিল সার্জনসহ তার অফিসের ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন মো: খায়রুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাজীপুরে এ পর্যন্ত ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গত শনিবার গাজীপুর শহরের চার জন ও কাপাসিয়ার এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ওই পাঁচ জনের মধ্যে তার অফিসের নাইটগার্ডও রয়েছেন। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে ওই নাইটগার্ডের সংস্পর্শে আসায় তিনি ও তার অফিসের ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, করোনায় আক্রান্ত ওই নাইটগার্ডকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টাফদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত জেলায় ২৯৪৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৮৩ জন নির্দিষ্ট সময়ের পর কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩০১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
