আরো এক মাস ফ্রান্সে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে । অর্থাৎ আগামী ১১ই মে সোমবার পর্যন্ত সেখানে লকডাউন থাকবে বলে গত রাতে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বার বার স্বীকার করে নেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তার বিভিন্ন দিক থেকে ব্যর্থতা রয়েছে। সোমবার রাতে দেয়া তার এ ভাষণ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে। এর মধ্যে স্কাই নিউজে প্রচারিত ভাষণে তাকে অনেকটা ঠান্ডা মাথার, মানবীয় দেখা যায়। বিনয়ের সঙ্গে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, ঘরের ভিতর অবস্থান করাই হচ্ছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমতে থাকে, যদি নাগরিকরা সামাজিক দায়িত্ব ও আইনের প্রতি সম্মান দেখান, তাহলে ১১ই মে ফ্রান্স স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। যত বেশি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো হবে, তত বেশি জীবন রক্ষা হবে।
তিনি বলেন, আপনাদেরকে আমি যেসব কথা মানতে বলেছিলাম সে
প্রচেষ্টায় সাড়া দেয়ার জন্য আপনাদের প্রশংসা করি। আমাদের সামনে নতুন আশা
দেখা দিয়েছে। তবে এখনই জয়ী হওয়ার মুহূর্তে নেই আমরা। এখনও এই মহামারি
নিয়ন্ত্রণে আসে নি।
করোনা ভাইরাস মহামারি শুরুর পর এটা ছিল ম্যাক্রনের
জাতির উদ্দেশে দেয়া চতুর্থ ভাষণ। তার দেশে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুহার
কিছুটা কমে এসেছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষের প্রধান জেরোমি সালোমন নতুন
করে বলেছেন, এখনও উচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে পরিস্থিতি। এ পরিস্থিতিতে
ম্যাক্রন টেলিভিশনে প্রায় ৩০ মিনিটের বক্তব্য রাখেন। এ সময় তার কণ্ঠ নমনীয়
শোনায়। তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। এর প্রেক্ষিতে কি
ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার বর্ণনা দেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে কি কি কাজ করা হবে
তার বর্ণনা দেন। বেশ কয়েকবার তিনি স্বীকার করে নেন, এই মহামারি মোকাবিলায়
ব্যর্থতা রয়েছে। বিশেষ করে মাস্ক ও সরঞ্জাম সরবরাহে ঘাটতির কথা স্বীকার
করেন তিনি। তবে প্রতিশ্রুতি দেন, ১১ই মের মধ্যে বয়োবৃদ্ধ, স্বাস্থ্যকর্মী
এবং খুব ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের যথেষ্ট পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। সবাইকে
দেয়া হবে মাস্ক।
