বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? আমি বলতাম বাঁধবে। এই দেশের তারুণ্যই বাঁধবে| তরুণরাই পারবে-এমন আশা ব্যক্ত করতাম, বিভিন্ন লেখায় আমি যখনই পরিবর্তন আসবেই, অনেকেই লিখতেন,একটা প্রজন্মের পরিবর্তন আসলেই আমরা অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবো! তারাই দেখিয়ে দেবে কারা সবকিছু আড়াল করে পদ পদবি আর অর্থের পেছনে ছুটছে!
এই তারুণ্য আছে প্রশাসনে, আছে চিকিৎসায়, আছে পুলিশ বাহিনীতে, আছে রাজনীতিতে, আছে গণমাধ্যমে, দরকার কেবল নিজের সাহস, সততা আর মনোবল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া|
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে প্রতিটি জেলার প্রকৃত চিত্র যদি এভাবে তুলে ধরা যেতো, তাহলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একটা পরিবর্তন আসতো! তাহলে কোথায় কী ‘সব ঠিক আছে’, ‘পর্যাপ্ত আছে’ বের হয়ে আসতো!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তরুণ ডাক্তারদের থেকে যদি শোনার ব্যবস্থা করা যায়, যারা পদে থাকার জন্য ‘সব ঠিক আছে’ বলতে লজ্জা পায়, তাহলে হাসপাতালগুলোর আসল চিত্র বের হয়ে আসতো! হাসপাতালের সরঞ্জামাদি কেনা নিয়ে মন্ত্রণালয় হতে বাজেট ছোট হতে হতে কোথায় গিয়ে পৌঁছে, তা তরুণ ডাক্তারদের জিজ্ঞাসা করলেই তারা বলে দিতে পারবে অনায়াসে!
অবশ্য এজন্য তাদের চাকরির নিরাপত্তা দেয়া প্রয়োজন! কে জানে এভাবে কথা বলার জন্য তাদের আবার কোন শাস্তি দেয়া হয়|
নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. Shamsuddoha Shanchay কে অসংখ্য ধন্যবাদ এভাবে সত্য চিত্র তুলে ধরার জন্য! এই ভিডিওটি দেখার পর আমার অমর্ত্য সেনের একটি লাইন মনে পড়ছে-
“It is not very hard to silence us, but that is not because we cannot speak.” A Bengali villager once remarked to him (The Argumentative Indian, Picador Books, 2005: xiii)
লেখক: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
