সারা দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বলে ঘোষণা করেছে সরকার। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। এই পরিস্থিতিতে ৬৪ জেলা ও মহানগরের কর্মহীন, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য সরকার আরও ছয় কোটি ৩০ লাখ টাকা ও নয় হাজার ৬০০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে চার কোটি ৭০ লাখ টাকা ত্রাণ সামগ্রী কেনার জন্য। বাকি এক কোটি ৬০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য কিনে তা ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দের চিঠিটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৬ এপ্রিল আরেক দফা বরাদ্দের চিঠি অধিদপ্তরে পাঠিয়েছিল মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতেই প্রথম শিশু খাদ্যের বিষয়টি যুক্ত করা হয়।

অতীতে কয়েক দফায় ৪১ কোটি ৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা (শিশুখাদ্য কেনাসহ) ও ৮৫ হাজার ৬৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়র নির্দেশিকা অনুসরণ করে এ বরাদ্দ বিতরণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন।

ত্রাণ কর্মসূচি-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহজাহান স্বাক্ষতির চিঠিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করেন বিধায় জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

শিশুখাদ্য ক্রয়ের শর্তের বিষয়ে বলা হয়েছে, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিফলন করতে হবে। জিটুজি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়াদুধ চলমান কাজে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া শিশুখাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুরি ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে।

জেলা প্রশাসকরা আরোপিত শর্তাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশুখাদ্য কিনে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করবেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031