শনিবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ডা. আবু তাহের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (অবেদনবিদ)। করোনাভাইরাস প্রতিরোধক মাস্ক ও চিকিৎসকের অত্যাধুনিক পিপিই সরবরাহ না পাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীতে আবু তাহের নামে এক চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিসিএস ৩৯তম ব্যাচের ডা. আবু তাহের গত বছরের ১১ ডিসেম্বর মেডিকেল অফিসার হিসেবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যোগদান করেন। তিনি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে অবেদনবিদ হিসেবে কাজ করেন। গত দুই দিন আগে তিনি ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন গত এক মাসে তিনি হাসপাতালের শতাধিক অপারেশন করেছেন। নিজের পকেটের টাকা দিয়ে বাজার থেকে মাস্ক কিনে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিব প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন অত্যাধুনিক ও জীবাণু প্রতিরোধক N৯৫, K৯৫, FFP২, মাস্ক চিকিৎসকদের সরবরাহ করেছেন। যাহা ডাহা মিথ্যা। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে যেসব মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের ও ১০-১৫ টাকা দামের। এ নিয়ে স্বাস্থ্য সচিব মিথ্যাচার করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে এরকম অনেক মিথ্যা প্রস্তুতির নাটক সাজিয়ে হাজার কোটি টাকা লোপাট করছেন আরও কিছু লুটেরার দল।
শুক্রবার বিষয়টি সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে পড়ে এবং এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার দুপুরে ওই চিকিৎসককে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে এর লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ডা. আবু তাহের বলেন, আমি প্রকৃত সত্য কথা বলেছি। গত এক মাসে হাসপাতালে শতাধিক অপারেশন করেছি। আমাকে মানসম্মত কোন মাস্ক কিংবা পিপিই হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয়নি। অথচ স্বাস্থ্যসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলেছেন প্রর্যাপ্ত পরিমানে এন৯৫, কে৯৫ এফএফপি২, মাস্ক হাসপাতাল গুলোতে মজুদ রয়েছে। তাহলে এগুলো গেল কোথায়। এ ঘটনায় জন্য আমি মোটেও অনুতপ্ত নই। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি শুধু সত্য ঘটনা তুলে ধরেছি। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেবেন বলেও জানান তিনি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডা আবু তাহেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
