নাগরিকদের কোনো চেষ্টাই করোনার সংক্রমণ রোধে ঘরে রাখা যাচ্ছে না । স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী-পুলিশ সার্বক্ষণিক এ নিয়ে কাজ করলেও কিছু মানুষ অনেকটা ইঁদুর-বিড়াল খেলছে। পুলিশ দেখলে পালিয়ে যায়, চলে গেলে আবারো পাড়া-মহল্লায় আড্ডায় মেতে ওঠে। বন্দননগরী চট্টগ্রামে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করা একদল যুবককে অভিনব শাস্তি দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের-সিএমপি কোতোয়ালি জোনের পুলিশ। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারা ২০ যুবককে কাগজে ৫০০ বার করে ‘আমি দুঃখিত’ লিখতে দেয়া হয়। যদিও ৪০০ বারের বেশি কেউ লিখতে পারেনি। অবশেষে মৌখিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করিয়ে তাদের বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে এই অভিনব শাস্তি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের-সিএমপি কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা গণমাধ্যমকে জানান, বিকালে পুলিশের একটি টিম নগরীর সিআরবি এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কাজ করছিল। এ সময় অন্তত ২০ জন তরুণকে পাওয়া গেছে যারা সিআরবি আসার যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। পরে তারা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর তাদের কাগজ-কলম এনে দেয়া হয়, যাতে তারা বিধি নিষেধ অমান্য করেছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে।
প্রতিজনকে ৫০০ বার করে ‘আমি দুঃখিত’ লিখতে বলা হলেও কেউ ৪০০ বারের বেশি লিখতে পারেনি। পরে ক্ষমা চাওয়ায় তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশে কর্মকর্তারা জানান, নগরীর সিআরবি এলাকা বিনোদন স্পট হিসাবে পরিচিত। আগে প্রতিদিন বিকালে এখানে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর ভিড় জমতো। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এখন জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই বিধিনিষেধ অমান্য করে কেউ যাতে এখানে ভিড় না করে সেজন্য এই অভিনব শাস্তি দেয়া হয়েছে।
