এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাস মহামারির কেন্দ্র । দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মৃতদের শেষকৃত্যের জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ২৫ হাজার ৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ১৮৫ জনের। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৪৩২ জন। এ তথ্য জানিয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।
যুক্তরাষ্ট্রের শুধু নিউইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৯১ জনের। এই প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৫ জন। এর পরই রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৫৬১৭ জনের, আক্রান্ত এক লাখ ২ হাজার ১৯৬ জন।
এছাড়া ম্যাসাসুসেটসে মৃত্যু হয়েছে ২৫৫৬, মিশিগানে ৩০৮৫, ইলিনয়ে ১৭৯৫, লুসিয়ানায় ১৬৬০, কানেকটিকাটে ১৭৬৪, পেনসেলভেনিয়ায় ১৭৩৬, ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৫৯৪ এবং ফ্লোরিডায় ১০৪৬ জন। অন্য সব শহরগুলিতে মৃতের সংখ্যা ১০০০ এর কম।
শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ২৪৫ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫১ জন। অপরদিকে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭২ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত তিন মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন।
