সুইডেন চলতি শতকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সপ্তাহ পার করেছে । চলতি মাসের শুরুতে দেশটিতে এক সপ্তাহে ২ হাজার ৫০৫ জন মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মহামারি সংশ্লিষ্ট মৃত্যুও রয়েছে। বিশ্বকে থামিয়ে দেয়া এই ভাইরাস মোকাবিলায় অভিনব এক পদ্ধতি অবলম্বন করছে দেশটি। অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মতো পুরো মাত্রায় লকডাউন জারি না করে, জীবন-যাপন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে সুইডিশ সরকার। এ খবর দিয়েছে দ্য ডেইলি মেইল।
সুইডেনের পরিসংখ্যান বিষয়ক সরকারি সংস্থা স্ট্যাটিস্টিক সুইডেন অনুসারে, সেখানে গত ৬ থেকে ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩৫৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী সপ্তাহ দেখেছে সুইডেন। ওই সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছিল দেশটিতে।
সবমিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছিল ২ হাজার ৩৬৪ জন। এছাড়া, এই শতকের
তৃতীয় ও চতুর্থ সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী সপ্তাহগুলোও এই বছরেরই। এর মধ্যে ৩০শে
মার্চ থেকে ৫ই এপ্রিল মারা গেছেন ২ হাজার ৩৫৪ জন এবং ১৩ই এপ্রিল থেকে ১৯শে
এপ্রিল পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ৩১০ জন।
স্ট্যাটিস্টিক সুইডেনের
পরিসংখ্যানবিদ টমাস জোহানসন স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এটা বলে রাখা
গুরুত্বপূর্ণ যে, এগুলো প্রাথমিক হিসাব। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মৃত্যুর
সংখ্যা ফের পর্যালোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহগুলোয় রেকর্ড করা
সকল মৃত্যুই ভাইরাস-সংশ্লিষ্ট নয়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে
অতিরিক্ত মৃত্যুগুলো করোনা সংশ্লিষ্ট হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। সুইডেনে করোনার
সময়ে হাসপাতাল, নার্সিং হোম ও অন্যান্য স্থানে হওয়া মৃত্যুর হিসাব রাখা
হচ্ছে। যেসব মৃতের মধ্যে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে, তাদের
করোনা-সংশ্লিষ্ট কারণে মৃত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে,
বৃটেনসহ বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশে, করোনায় মৃত হিসেবে কেবল হাসপাতালে মারা
যাওয়া করোনা আক্রান্তদের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত সুইডেনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯২৬ জন। করোনা-সংশ্লিষ্ট কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ২৭৪ জন।
