চেষ্টা করেন যাতে অদর্শনের সময়সীমা যাতে এক মাসের বেশি না হয়। রাধিকা আর বেনেডিক্ট দু’জনে দু’জনের কাছে যাওয়া আসা করেন।
বিশ্বের দুই প্রান্তে দুই সংসার বজায় রাখা, ঘন ঘন যাতায়াত করা যে যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ, স্বীকার করেন রাধিকা। সেই কারণে তারা অন্যান্য দিকে ব্যয়সঙ্কোচ করেন। এমনকি, বিমানে যাতায়াতও করেন ইকোনমি ক্লাসেই।
বিয়ে মানেই যে সব কিছুর উপর বন্ধন, মনে করেন না রাধিকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বিয়ের পরেও অন্য পুরুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করার মধ্যে তিনি কোনো অন্যায় বা পাপ দেখেন না।
রাধিকার মতে, মোনোগ্যামি কোনো ব্যক্তিবিশেষের পছন্দ হতেই পারে। কিন্তু সেটা জীবনের বাধ্যবাধকতা হতে পারে না। রাধিকার প্রশ্ন, তাঁর যদি একইসঙ্গে নাচ ও গান ভাল লাগতে পারে, তা হলে দু’জন পুরুষকে পছন্দ হতে পারবে না কেন?

একই সঙ্গে একাধিক জনের প্রেমে পড়তে ভালবাসেন রাধিকা। জানিয়েছেন নিজেই। কারওর প্রতি হয়তো শারীরিক আকর্ষণ বোধ করলেন। আবার কারওর সান্নিধ্য হয়তো ভাল লাগল।
বিয়ের পরে তাকে কোনো কিছুর জন্য স্বামী বেনেডিক্টের অনুমতি নিতে হয় না। জানিয়েছেন রাধিকা। আবার একইসঙ্গে তার জীবনদর্শন নিয়েও আপত্তি নেই বেনেডিক্টের। তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন ‘বদলাপুর’-এর কাঞ্চন।
বিয়ের পরেও একাধিক নায়কের সঙ্গে রাধিকার সম্পর্কের কথা শোনা গেছে। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘বদলাপুর’। ছবির নায়ক বরুণ ধওয়নের সঙ্গে তিনি অন্তরঙ্গ ছিলেন বলে ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন। তবে রাধিকা একে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পরবর্তী সময়ে।

‘মানঝি—দ্য মাউন্টেন ম্যান’-এর নায়ক নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গেও তাঁর প্রণয় ছিল বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সে কথা রয়ে যায় গুঞ্জনের স্তরেই।
এর পর বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গেও রাধিকার নাম জড়িয়ে যায়। কিন্তু বিবেক বা রাধিকা, দু’জনেই এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

চিকিৎসক দম্পতির কন্যা রাধিকার জন্ম তামিলনাড়ুর ভেলোরে, ১৯৮৫-র ৭ সেপ্টেম্বর। পুণের ফার্গুসন কলেজ থেকে অর্থনীতি ও গণিতে স্নাতক রাধিকা হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, মরাঠি, তেলুগু, মালয়লম ও বাংলা মিলিয়ে মোট সাতটি ভাষা বলতে পারেন।
কলেজে পড়তে পড়তেই ২০০৫ সালে প্রথম অভিনয় ‘বাহ! লাইফ হো তো হ্যায় অ্যায়সি’ ছবিতে। তখনও ভাবেনইনি একদিন অভিনয়কেই পেশা করবেন।

তবে রাধিকা খুব বেছে বেছে ছবিতে অভিনয় করেন। দেড় দশকের কেরিয়ারে হিন্দি ছাড়াও অভিনয় করেছেন বাংলা, তেলুগু, মালয়লম ও ইংরেজি ছবিতে।
এই কোয়রান্টিন সময়ে আপাতত লন্ডনের বাড়িতেই স্বামীর সঙ্গে বন্দি তিনিও। নতুন ভাষা শিখছেন, রান্না করছেন টুকটাক।আর অপেক্ষায় দিন গুনছেন সব কিছু শান্ত হয়ে যাওয়ার। জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি সবার আগে তাঁর বন্ধুদের জড়িয়ে ধরবেন। কাছে টেনে নেবেন ভালবাসার মানুষকে।

