বাজেট প্রস্তাবে উল্লিখিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা অপ্রয়োজনীয়, বরং কিভাবে মানুষের জীবন বাঁচানো যায় সেটাই এখন মূল ভাবনা হওয়া উচিৎ , বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের বঙ্গনন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান মনে করেন ।

সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনা ওয়েবিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, করোনা সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে যতোটা ‘আউট অফ দ্যা বক্স’ বাজেট অনেকে আশা করেছিলেন তা হয়তো হয়নি। তবে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামেরা সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় রেখে যথেষ্ট সতর্কতা বজায় রেখে যথার্থ বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে।

উন্নয়ন সমন্বয়ের এমেরিটাস ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলীর সঞ্চালনায়য় ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়েয় অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এনামুুল হক এবং বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস. এম. জুলফিকার আলী।

প্রস্তাবিত বাজেটে বহুলাংশে করোনা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মত দেন প্যানেল আলোচকরা। তবে অনেক খাতে ব্যয় কমিয়ে স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ালে করোনার প্রভাব কাটিয়ে ওঠা আরো সহজ হত বলে তারা মনে করেন।

ড. জুলফিকার বলেন, করোনার ফলে যারা নতুন করে দরিদ্র হবেন এমন নাগরিকদের জন্য নতুন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রস্তাবিত বাজেটে থাকার সুযোগ ছিলো। আর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি কেবলই সংখ্যাবাচক পরিবর্তন আনবে এবং এই পরিবর্তন প্রত্যাশিত ও ইতিবাচক হলেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনের প্রয়োজনিয়তাও রয়েছে বলে মনে করেন ড. এ কে হক।

ড. মাহবুবা নাসরিন মনে করেন, বরাবরের মতো শিক্ষা খাত বরাদ্দে অগ্রাধিকার পেলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার সকল স্তরের অংশীজনদের নিয়ে কাজ করতে হবে।

মূল নিবন্ধে ড. আতিউর বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। তবে করোনার কারণে এবারের চ্যালেঞ্জ আগের যে কোন সময়ের তুলনায় কঠিন। বাজেট দেশের জনগণের উপলব্ধি, স্বপ্ন ও মনস্তত্ত্বের দলিল হবার কথা। বাস্তবে তা কতোটা হতে পেরেছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না। স্মরণকালের বৃহত্তম এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকল অংশীজনের অবিস্মরণীয় সমন্বিত উদ্যোগই পথ দেখাতে পারে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031