দগ্ধ বাকি ১৭ জনের অবস্থাও গুরুতর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইমাম আব্দুল মালেকসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
শনিবার বিকাল থেকে একে একে নিহতদের মরদেহ ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় নিয়ে আসা হয়। ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বোমওয়ালার বাড়ির খেলার মাঠে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সৃষ্টি হয় শোকাহত পরিবেশ।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ অন্য যারা চিকিৎসাধীন তাদের বেশিরভাগের অবস্থা সংকটাপন্ন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ইমাম আব্দুল মালেক, মুয়াজ্জিন দেলওয়ার, কুদ্দুছ ব্যাপারী, সাব্বির, জুয়েল, জামাল, জুবায়ের, হুমায়ুন কবির, মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম, রিফাত, জুনায়েদ, জয়নাল আবেদিন, মাইনুদ্দিন (১২), মো. নয়ন, কাঞ্চন হাওলাদার ও রাসেল।
গতকাল শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ তল্লার বায়তুল বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায়ে সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে মসজিদের চারপাশে। এতে দগ্ধ হন মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনসহ অন্তত ৪০ জন। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। প্রাথমিকভাবে এসি বিস্ফোরণে আগুন লাগার ধারণা করা হলেও গ্যাসের লিকেজ থেকে এই দুর্ঘটনা হতে পারে বলে জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। তারা জানিয়েছে, আগুন নেভানোর সময় জমে থাকা পানিতে বুদবুদ দেখা যায়।
এদিকে বিস্ফোরণে যারা মারা গেছে তাদের দাফন কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দীন। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান ডিসি।
এছাড়া তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পেছনে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
