হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়সীমান্ত এলাকায় শিশুরা যাতে মাদক ও চোরচালানের মত অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সীমান্ত এলাকার স্কুলগুলোতে প্রেরণামূলক কার্যক্রম ( মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম) গ্রহণকরতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) নির্দেশ দিয়েছে । সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, ভারত থেকে অবৈধভাবে মহিষ আনা, বিজিবির কাজে বাধা ও রাজস্ব ফাঁকির মামলায় এক শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে আসামি করার ঘটনায় ওই শিশু ও বিজিবি কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে আদালত এ আদেশ দিয়েছে। আদালতে সেই শিশুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলও আদালতে তার মতামত তুলে ধরেন। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ওই শিশুটির বয়স ১৯ বছর দেখিয়ে মামলা করার ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর বিজিবির সুবেদার নায়েব মো. সাহাব উদ্দিনকে তলব করেছিল হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদককে সেদিন বলা হয়েছিল, শিশুটিকেও যেন আদালতে নিয়ে আসা হয়।
সে অনুযায়ী বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আদালতে আসে শিশুটি।
বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. সাহাব উদ্দিনও আদালতে হাজির হন।
শিশুটিকে মামলায় জড়ানোর জন্য লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষামা চান সাহাব উদ্দিন। বয়স বাড়িয়ে দেখানোর জন্য আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।তার আবেদন আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। শুনানি শেষে আদালত তাকে অব্যাহতি দেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতে বলেন, “যে মামলা হয়েছে আমরা সে মামলার বিষয়বস্তুতে যেতে চাই না। এখানে আমাদের আলোচ্য বিষয় শিশুটির বয়স। এই শিশুকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে তার বয়স কত। কিন্তু মামলা দেওয়া হয়েছে ১৯ বছর দেখিয়ে। আমরা এমনও তো দেখি শিশু অপরাধ করে। সেক্ষেত্রে শিশু আইনে শিশু আদালতে তার বিচার হবে। কিন্তু তাকে কেন বয়স বাড়িয়ে ফৌজদারি আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হবে?
