যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের মাস কয়েক আগে থেকেই মেইল-ইন ব্যালটকে জালিয়াতি বলছিলেন । অভিযোগ তুলেছিলেন, তাকে অপছন্দ করেন এমন ডেমোক্র্যাট গভর্নররা ভোট গণনার দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বাচন শেষ হবার পর ভোট গণনা করাটিও আইনবহির্ভূত ও অবৈধ ট্রাম্পের ভাষায়। নির্বাচনে তিনি এখন জালিয়াতির অভিযোগ করছেন। ব্যাটলগ্রাউন্ড অনেক রাজ্যের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে বসেন। এসব অভিযোগ নিয়ে করা তার বেশ কিছু পোস্ট টুইটার এবং ফেসবুক নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে মুছে দেয়। নির্বাচনের ফল ঘিরে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই আদালতে গেছেন ট্রাম্প।

সব মিলিয়ে এমন বিভাজন আর বিশৃংখলার নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র কখনো দেখেনি আগে।

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের এহেন অবস্থা নিয়ে তার দুই প্রতিদন্দ্বী রাষ্ট্র রাশিয়া এবং চীনের বক্তব্য কি তাতে আগ্রহ সবার৷ তাছাড়া দেশ দুটিতে গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলে বরাবরই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বের।

সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত প্রচারমাধ্যম আরটি-তে যুক্তরাষ্ট্রকে “ছিন্নমূল এবং বিভক্ত” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। রাশিয়ার অনেক কলামিস্ট নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য বিশৃংখলার চিত্র তুলে ধরেছেন যা ট্রাম্পের মন্তব্যে বাস্তবে রূপ নিতে পারে। একজন লিখেছেন, “বিষয়টি আমেরিকান গণতন্ত্রের এক ভয়াবহ চিত্র অংকন করে।”

অন্যদিকে চীনা কূটনীতিক এবং সরকারি মুখপাত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফল এবং চলমান প্রতিযোগিতার বিষয়ে অনেকটাই চুপচাপ। তবে রাষ্ট্র-সমর্থিত গণমাধ্যমগুলো আন্তর্জাতিক গণতন্ত্রের ‘স্ট্যান্ডার্ড’ বাহক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘকালীন অবস্থান এবং ট্রাম্পের নিজস্ব মন্তব্য এ দুয়ের মধ্যে অসামঞ্জস্যতার দিকে আলোকপাত করেছে।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তথা সরকারের মুখপাত্র বলে পরিচিত গ্লোবাল টাইমস বুধবার এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে যাতে উল্লেখ করা হয়েছে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুগভীরে প্রোথিত বিভাজনগুলো তাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।”

লেখক ওয়াং উইওয়েন লিখেছেন, “গণতন্ত্র সভ্য এবং সুন্দরভাবে চর্চার বিষয়। নির্বাচনে যিনি পরাজিত হন তাকে শান্ত থাকতে হয়, ফল মেনে নিতে হয় এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার নিমিত্তে বিভক্তি দূর করার আহ্বান জানাতে হয়। তবে মনে হচ্ছে, আজকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসবের বালাই নেই।”

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031