বাংলাদেশের মেয়েরা সাত ইঞ্চির বেশি উচ্চতা হারাচ্ছে নিম্নমানের পুষ্টির কারণে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট।

শুক্রবার প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের আরও তিনটি দেশের মেয়েদেরও উচ্চতা কমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই তিনটি দেশ নেপাল, গুয়াতেমালা এবং তিমুর।

 

দ্য ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা ১৯৩টি দেশের ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৬৫ মিলিয়ন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে এই গবেষণাটি করেছেন।অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় ২০১৯ সালে পরিচালিত এই গবেষণা প্রতিবেদন শুক্রবার প্রকাশ করেছে ল্যানসেট।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মেয়ের দেশ হিসেবে নেদারল্যান্ডস, মন্টিনেগ্রো, ডেনমার্ক এবং আইসল্যান্ডকে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব দেশের উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের চেয়ে শারীরিকভাবে খাটো মানুষের দেশগুলোর কিশোর-কিশোরীদের ওজনও কম।

 

ল্যানসেটের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৯ বছর বয়সে একটা মেয়ে যতটা লম্বা হয় নেদারল্যান্ডের ১১ বছর বয়সী একজন কিশোরী ঠিক ততটুকুই লম্বা হয়। এর ফলে শিশুদের বেড়ে উঠার ওপর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগে বিরাট পার্থক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিবেদনের জ্যেষ্ঠ গবেষক মজিদ অ্যাজাতি।

 

আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের বৈষম্যকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্কুলে যাওয়ার আগে এবং স্কুলে যাওয়ার দিনগুলোতে বাচ্চাদের ওপর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগে বড় পার্থক্য আছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারিকালে অনেক দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না।’

 

আদর্শ ওজনের তারতম্যের পার্থক্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কিশোররা খাটোর তালিকায় না থাকলেও তাদের উচ্চতার বিপরীতে ওজন নিম্মমান। বডি ম্যাস ইনডেক্স তথা বিএমআই অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত, ইথিওপিয়া ও তিমুরের কিশোর-কিশোরীদের বিএমআই সবচেয়ে কম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031