শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি ১৫ নভেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন । আগামী বছরের এসএসসি-সমমান পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ও সিলেবাস শেষ করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় পর্যায়ে কর্মরত শিক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদকদের একাংশের সংগঠন বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিইআরএফ) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী একথা জানান। করোনা মহামারিকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে বিইআরএফের জরিপের ফল তুলে ধরতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহামারির কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না। কওমি মাদ্রাসা বাদে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। ১৫ নভেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারেন বলে আভাস দেন মন্ত্রী।

 

এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা এ মাসের ১৪ তারিখ (১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কি না, নাকি এই ছুটিটি আরও বাড়বে, নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারব- এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে এখনও কাজ করছি।

‘১৪ তারিখের আগে চেষ্টা করব আপনাদেরকে (গণমাধ্যম) জানিয়ে দিতে। কারণ ১৪ তারিখের আগে তো আমাদেরকে একটা সিদ্ধান্ত দিতেই হবে। কাল বা পরশুর মধ্যে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত জানাতেই হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে দেশের কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিছুসংখ্যক বিদ্যালয় খুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পন্ন করা হবে। সিলেবাস শেষ হলে তাদের একটি টেস্ট পরীক্ষা নেয়া হবে। সে পরীক্ষার পর পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে তারা মূল পরীক্ষায় অংশ নেবে। কেউ না চাইলে পরবর্তী বছরের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সামনেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, সেগুলো নিয়েও আমরা বিভিন্নভাবে ভাবছি, যে তাদেরকে কী করে তাদের পরীক্ষার আগে তাদের সিলেবাস কি করে পুরোপুরি শেষ করতে পারে, এসব নানান জিনিস আমরা ভাবছি।”

দীপু মনি বলেন, “সংকটের মধ্যেও আমরা পড়াশোনাকে চালিয়ে নিতে পেরেছি, চালিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই এটি আমাদের কোনো আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এবং আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্বাস সভায় বক্তব্য দেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031