জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যতদিন জীবিত আছি এই বাংলাদেশকে আর কেউ দখল করতে পারবে না ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদেনর সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন । বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপশক্তির এই আক্রমণ আজকে নতুন না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে তারা মনে করেছিল, বাংলার বুক থেকে বঙ্গবন্ধু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। কারণ বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু একটি চেতনা, একটি আদর্শ, যেটি বাঙালি জাতির অন্তরে গেঁথে আছে। কোনোভাবেই সেটা মুছে দেয়া যাবে না। নিশ্চিহ্ন করা যাবে না
বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে সুপ্রিম কোর্টের মূল গেটের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে মৌলবাদীদের বাধা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে এতে হাজারখানেক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, তারা ভাস্কর্য ভেঙে মনে করেছে তারা বিজয়ী হয়ে গেছে। যখনই সংবিধানবিরোধী কার্যক্রম হয়েছে, যখনই গণতন্ত্রকে আক্রমণ করা হয়েছে, যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত এসেছে আমরা আইনজীবী অঙ্গন তার দাঁতভাঙা জবাব সবসময় দিয়েছি। মনে রাখবেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যতদিন জীবিত আছি এই বাংলাদেশকে কোনো অপশক্তি দখল করতে পারবে না। জনাব বাবু নগরী, আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সেই ৫ মের কথা। ভুলে গেছেন? মনে করেছিলেন শাপলা চত্বর দখল করলেই বাংলাদেশ দখল হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আপনারা (বাবুনগরী) পানি ঘোলা করে জাতির পিতার প্রতি কটূক্তি করে, মনে করছেন সেই আবার জঙ্গিবাদের দিকে দেশকে নিয়ে যাবেন। আপনারা যে স্লোগান এক সময় দিয়েছিলেন, বাংলা হবে আফগান সেই আফগানিস্তানে আপনাদের পাঠিয়ে দেয়া হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙা ও অন্যায়-অপকর্মে যারা জড়িত, যারা অন্যায়-অবিচার এবং দেশদ্রোহিতা করবে বা সম্পৃক্ত হবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। এরপর তাদের প্রত্যেককে আমরা বিচারের সম্মুখীন করব। প্রত্যেককে আমরা এই দেশে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করব।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা জানি ৭১-এর পরাজিত শক্তিরা যারা ৭৫-এ চেষ্টা করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে, তারা চেষ্টা করেছিল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বাংলাদেশকে মুছে দিতে। তারা সেদিন সফল হয় নাই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সফল হয় নাই, আজকে তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে আঘাত করছে। তারা আমাদের সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদকে সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করছে। আমাদের সংবিধানের ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতির অবমাননা প্রদর্শিত হলে সেটা হবে দেশদ্রোহিতার শামিল। তারা এই দেশকে ভালবাসে না, এই দেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। তাই তারা এসব অন্যায়-অপকর্ম করছে।
ঢাকা বারের সাবেক সম্পাদক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মানবাধিকার বিষয়ক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মোখলেসুর রহমান বাদলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনির, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহিদী প্রমুখ।
