উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো ,সুদান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে । বরাবরের মতোই এতে মধ্যস্থতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে এরইমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে মরক্কো। একইসঙ্গে সরকারি পর্যায়েও যোগাযোগ চালু করবে দুই দেশ। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির অংশ হিসেবে বিরোধপূর্ণ পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর সার্বভৌমত্বে রাজি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা¤প। চুক্তি হওয়ার পর মরক্কোর শাসক কিং মোহাম্মদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।
এদিকে ইসরাইলের সঙ্গে একে একে মুসলিম দেশগুলো স¤পর্ক স্থাপন করায় হতাশ হয়ে পড়ছেন ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।
এর আগেও তারা একাধিকবার হতাশা প্রকাশ করেছেন। এবারো প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলওর নির্বাহী কমিটির সদস্য বাসাম আস-সালহি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেয়ার যে নীতি আরব রাষ্ট্রগুলো নিয়েছিল তা থেকে তারা সরে আসছে। ২০০২ সালের আরব শান্তি প্রচেষ্টা থেকে কোনো আরব রাষ্ট্র সরে এলে তা ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার অস্বীকারের প্রবণতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, গাজায় হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেন, প্রতিটি নতুন চুক্তির পর ইসরাইল ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসন বাড়িয়ে দেয়।
চুক্তি মোতাবেক মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে, সরকারি যোগাযোগ স্থাপন করবে, ইসরায়েলকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিবে এবং দেশটির সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল চালু করবে। হোয়াইট হাউজের শীর্ষ পরামর্শক জারেড কুশনার সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা রাবাত ও তেল আবিবে লিয়াজোঁ অফিস দ্রুত খুলে দেবে। এরপর দূতাবাস খোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইসরাইল ও মরক্কোর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করবে। কুশনার বলেন, সৌদি আরব ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে সেটিও অনিবার্য।
