বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে অ্যাগ্রো প্রসেসিং শিল্পে বিনিয়োগের । স্পেনের বিনিয়োগকারীরা এ খাতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা সহজ করা হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিটেজ সালাস’র সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আব্দুর রহিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের চমৎকার স্থান। স্পেন বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহৎ রপ্তনি বাজার। স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সফর বিনিময়ের মাধ্যমে এই বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ স্পেনের কাছ থেকে চলমান জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা করছে।
রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিটেজ সালাস বলেন, বাণিজ্যিক দিক থেকে স্পেন বাংলাদেশকে বেশ গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে স্পেন খুশি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে স্পেনে। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণে তৈরি পোশাক স্পেন বাংলাদেশ থেকে আমদানি করবে। বাণিজ্যের পরিধিও বাড়বে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এতে স্পেন খুশি। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও স্পেন বাংলাদেশকে সহযোতিা অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ স্পেনে রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৫৫৪.৮২ মিলিয়ন ডলার মুল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে ১৮০.১৮ মিলিয়ন ডলার মুল্যের পণ্য। উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৩৭ মিলিয়ন ডলার। কোভিড-১৯ এর কারণে গত অর্থবছরে বাণিজ্যের পরিমাণ কম ছিল।
