যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর বিজ্ঞানীরা। তারা এই টিকার ব্যাপারে বলেছেন যে, মডার্নার টিকা নিরাপদ ও শতকরা ৯৪ ভাগ কার্যকর মডার্না আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের টিকাকে সবুজ সংকেত দিয়েছে । এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার পথ পরিষ্কার হয়ে গেল। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি বা অনুমোদন দেয়া হয়নি। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি লিখেছে, এফডিএ’র এই বিশ্লেষণের অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টিকা হতে চলেছে মডার্নার টিকা। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকার জরুরি প্রয়োগ শুরু হওয়ার একদিন পরেই এ কথা বলা হয়েছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর এমন ঘোষণা এলো।
মডার্নার টিকা অনুমোদন সংক্রান্ত এমন ঘোষণা দেয়া হয় মঙ্গলবার।
যদি এই টিকা এ সপ্তাহের শেষের দিকে বিশেষজ্ঞদের টিম দ্বারা অনুমোদিত হয় এবং এফডিএর টিকা বিষয়ক প্রধান দ্বারা নিরাপদ প্রমাণিত হয়, তাহলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এর বিতরণ শুরু হবে। ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, মডার্নার টিকা ৩০ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। তাতে এর কার্যকারিতা শতকরা ৯৪.১ ভাগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশী ও সংযোগস্থলগুলোতে ব্যথা। ফাইজারের টিকার বিষয়ে গত সপ্তাহে একই রকম তথ্য দিয়েছিল এফডিএ। তারপর তারা এটাকে অনুমোদন দিয়েছে। মডার্না প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১০ সালে। এখন পর্যন্ত তাদের উৎপাদিত কোনো পণ্যকে এফডিএ অনুমোদন দেয়নি। ওদিকে এ বছর তাদের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা প্রায় ৭০০ ভাগ।
ফাইজারের সঙ্গে মডার্নার পার্থক্য কি
ফাইজার আবিষ্কৃত টিকা সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এত কম তাপমাত্রায় এই টিকা সংরক্ষণ করা খুব কঠিন। কারণ, এত নি¤œ তাপমাত্রার স্টোরেজ খুঁজে পাওয়া ভার। ফলে এই টিকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তর করা খুব কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। সেদিক থেকে মডার্নার টিকা অনেকটা স্বস্তির। এই টিকা সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে এই টিকা স্থানান্তর সহজ।
ফাইজারের মতোই মডার্নার টিকা দুটি ডোজ নিতে হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় টিকা নিতে হয়। এই কোম্পানিটির অবস্থান ম্যাচাচুসেটসের কেমব্রিজে। যদি তাদের টিকা অনুমোদন দেয়া হয় তাহলে বেশির ভাগ টিকাই তৈরি হবে সেখানকার অবকাঠামোতে। অন্যদিকে জার্মানি, বেলজিয়াম সহ কয়েকটি দেশে তৈরি হবে ফাইজারের টিকা।
