কোনো স্বার্থ ছাড়ায় আবারো বাংলাদেশে রপ্তানি শুরু করেছে ভারত সরকার ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার ৩ মাস ১৬ দিন পর। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক গাড়ি ১৯ টন পিয়াজ চালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানি শুরু হয়। চাঁপাই নবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিকালে পিয়াজবাহী ট্রাক স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। বন্দরের ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল পিয়াজ এসেছে চারটি ট্রাকে। আরো বেশ কয়েকটি ট্রাক প্রবেশের জন্য ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে অপেক্ষায় রয়েছে। গত ১৪ই সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
এর আগে গত ২৮শে ডিসেম্বর রাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত ইয়াদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পিয়াজ রপ্তানির বিষয়টি জানানো হয়। রাতেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের কপি দিয়ে পিয়াজ রপ্তানি শুরুর বিষয়টি ভারতীয় রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়ে ছিলেন। সে মোতাবেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রতি টন পিয়াজ ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানির জন্য রিনপত্র খোলেন, সে রিনপত্রের আলোকে গতকাল থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর আবারো ভারত সরকার পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সোমবার রাতে একটি পত্রের কপি দিয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পিয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি এবং আগামী ২ জানুয়ারী থেকে এই পিয়াজ রপ্তানি করা হবে বলে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন। আমরা ভারত থেকে পিয়াজ আমদানির অনুমতি মেলায় এলসি খুলেছি। প্রতিটন পিয়াজ আড়াইশ’ মার্কিনডলার মূল্যে এলসি খুলে আমরা পিয়াজ আমদানি শুরু করেছি।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার খবরে বন্দর এলাকায় কর্মচাঞ্চলতা ফিরতে দেখা গেছে, বন্ধ থাকা আড়তগুলো খুলতে শুরু করেছে। সাধারণ ক্রেতার মধ্যে উৎফুল্লতা দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে করে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে ২৫০ পিয়াজবাহী ট্রাক। বন্ধের পাঁচদিন পর ১৯শে সেপ্টেম্বর অনুমতি সাপেক্ষে পূর্বের টেন্ডারকৃত ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পিয়াজ রপ্তানি করে পুনরায় পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত।
