ঢাকা :  পুলিশ প্রতিদিনই তাদের তাড়া করছে।মালয়েশিয়ার সর্বত্র চলছে অবৈধ শ্রমিক ধরপাকড় । বাসায়, অফিসে, কারখানায়, গাড়িতে, মার্কেটে এমনকি বন-জঙ্গলেও দিনরাত চলছে পুলিশি অভিযান।
গত ৪ দিনের সাড়াশি অভিযানে বাংলাদেশীসহ সহস্রাধিক আটক  হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এদের সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।   এদিকে গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে থাকা ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিরা তাদের এই বিপদে দূতাবাসের দিকে তাকিয়ে থাকলেও কর্তারা নীরব রয়েছেন বলে অভিযোগ প্রবাসীদের। ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিরা কী করবেন? তারা কী উপায়ে ‘পলাতক’ অবস্থায় ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরবেন এসব বিষয়ে অন্যসব দেশের দূতাবাসগুলো তাদের নাগরিকদের রক্ষায় মাঠে নামলেও বাংলাদেশ দূতাবাস নীরব ভুমিকা পালন করছে।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার পেনাংয়ের একটি বিনোদন কেন্দ্র থেকে ৩৩ জন , পুচং এলাকা থেকে ২০ জন আটক করা হয়। বুধবার রাওয়াং বুকিত বরুনতাং থেকে ১৬ জন, বৃহস্পতিবার মেলাকা প্রদেশের তিনটি স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩১ জনকে আটক করা হয়।
অভিযানে মোট ১০০ জন বাংলাদেশীসহ ৫ শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯-এর সেকশন ৬ (১)(সি) ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে আটক করা হয়।     গ্রেফতার এড়াতে প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে চলাফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কমিউনিটি নেতারা।   নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  কয়েকজন বাংলাদেশী বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই চলছে ধরপাকড় ও পুলিশের হয়রানি। অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক অবৈধ হয়ে পড়েছেন। ভিসা নবায়ন করে দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো। এমতাবস্থায় লাখ লাখ শ্রমিক অবৈধ হয়ে পড়েছেন।   সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ জানিয়েছেন, অবৈধ শ্রমিক প্রবেশ ঠেকাতে মন্ত্রণালয়ও তৎপরতা দেখিয়েছে। এ বছরের ১৫ জুন পর্যন্ত ৫৬২২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৯১,০৭৫ জন বিদেশী শ্রমিকের কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছে যার মধ্যে ২৭,৪৯৮ জনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়েছে। এমনকি ৬৬২ জন নিয়োগদাতা এবং বিদেশী শ্রমিক আনার ৭টি চক্রের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে সরকারি-বেসরকারি হিসাবে মালয়েশিয়ায় ২০ লাখেরও বেশি বিদেশী কর্মী বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাজ করছেন।
পরিসংখ্যানে জানা গেছে, দেশটিতে কর্মরত বিদেশী কর্মীদের ২৯.৪ শতাংশ ইন্দোনেশিয়ার, ২৩.৬ শতাংশ নেপালের, ১৪.৩ শতাংশ বাংলাদেশের, ৬. ৯ শতাংশ মিয়ানমারের, ৫.১ শতাংশ ভারতের, ৩.১ শতাংশ ফিলিপাইনের, ২.৫ শতাংশ পাকিস্তানের, ০.৬ শতাংশ থাইল্যান্ডের এবং ৪ শতাংশ শ্রমিক অন্যান্য দেশের।
Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031