গোটা বিশ্ব ২০২০ সালে করোনায় জর্জরিত। তবে তারই মধ্যো পৃথিবীর নতুন খবর সকলের সামনে উঠে এল। দ্যা  টেলিগ্রাফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, পৃথিবীর আবর্তনের গতি কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। হয়তো বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবেন না। তবে একে হেলাফেলাও করবেন না। দেখা গিয়েছে প্রতি বছরেই একটু করে আবর্তন গতি বেড়ে চলেছে পৃথিবীর। পৃথিবী কেন এই ধরনের আচরণ করছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। আকাশে নক্ষত্রদের গতিবিধি এই আবর্তন গতির হিসাব আরও স্পষ্ট করেছে।

বিগত দশকে পৃথিবীর এই আবর্তন গতি ধীরে ধীরে বেড়েছে। আবর্তন গতির ঘড়ি এই বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করেছে। ২০১৬ সালে নতুন বছরের সময় থেকেই দেখা যায় পৃথিবীর আবর্তন গতির এই বিষয়টি। অনেকে আবার এই বিষয়টিকে খারাপ দিনের আগমন বলে মনে করছেন।

পৃথিবী কেন নিজের আবর্তন গতি বাড়াল তা নিয়ে উঠে আসছে নানা কাল্পনিক কথাও। ন্যাশনাল ফিজিকাল ল্যাবরেটরির গবেষক পিটার উইবারি মনে করেন, বিগত ৫০ বছরের তুলনায় পৃথিবীর আবর্তন গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তা নিয়ে খারাপ কিছু ঘটতে পারে কিনা তা নিয়ে বলার সময় এখনও আসেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে গবেষকদের মনে যে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে তা বলার অবকাশ রাখে না। খুব সামান্য  হলেও এবিষয়ে ইতিমধ্যে্ই চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

মহাকাশের খবরে প্রতিটি দেশই এখন অনেক এগিয়ে। সূর্য, চাঁদ এবং নক্ষত্রের নানা গতিবিধি লক্ষ করে কোনও সিদ্ধান্ত আসতে পারছেন না গবেষকরা। প্রযুক্তি উন্নত হলেও তা দিয়ে এবিষয়ে কোনও সমাধান হবে কিনা তা এখনই হলফ করে বলা যাচ্ছে না। প্যারিসে ইন্টারন্যাবশনাল আর্থ রোটেশন সার্ভিসের পক্ষ থেকে সর্বদা নজর রাখা হয়েছে এবিষয়ে। তাই তারা প্রতিটি দেশকে এই সামান্য  সেকেন্ডের হেরফেরের বিষয়টি জানিয়ে দেন।

তবে ২০২৩ সালে এবিষয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। মনে করা হচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে তার আবর্তন গতি বৃদ্ধি পেতে পারে। এই কাজে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদেরও সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে। চাঁদের টানে পৃথিবীর জোয়ার ভাঁটা এই গতিবৃদ্ধির অন্যতম কারন হতে পারে। পৃথিবীর বরফ গলা পাহাড়গুলিও এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। তাই গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের বিষয়টিও এক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031