বৃটেনে নতুন করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট আরো বেশি ভয়াবহ হতে পারে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন। তবে এই ভাইরাস কতভাবে তার রূপ বদল করেছে তা অনিশ্চিত। বিজ্ঞানীরা বা টিকা আবিষ্কারকরা বলছেন, বর্তমান যেসব টিকা আবিষ্কার করা হয়েছে সেগুলোই এই নতুন রকম ভাইরাসের চিকিৎসায় কাজ করবে। এরই মধ্যে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ বেশি গতিতে সংক্রমণযোগ্য এই ভাইরাসের নতুন ধরনের ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে বৃটেনজুড়ে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ডাউনিং স্ট্রিটে সংবাদ সম্মেলনে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, প্রথমে করোনা ভাইরাসের এই ধরনটি শনাক্ত করা হয়েছে লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। দৃশ্যতা তা অধিক দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এখন কিছু তথ্যপ্রমাণ মিলছে যে, মৃত্যুহার বৃদ্ধির সঙ্গে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট যুক্ত।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত করা হয় কেন্টে গত সেপ্টেম্বরে। কিন্তু এখন ইংল্যান্ডে এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে এই ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি কমন। শুধু তা-ই নয়। এর বিস্তার ঘটেছে কমপক্ষে ৫০টি দেশে। বৃটেনে যে ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে তার বিরুদ্ধে ফাইজার এবং অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকা কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে অন্যখানে। স্যার প্যাট্রিক বলেছেন, আরো দুটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গভীর উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে। ফলে এ বিষয়টিতে খুব সতর্কতার সঙ্গে গবেষণা প্রয়োজন। এর প্রেক্ষিতে বাইরে থেকে যাতে বৃটেনে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে আরো কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বৃটিশ সরকার দক্ষিণ আমেরিকা, পর্তুগাল এবং আফ্রিকার অনেক দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। নতুন ভ্যারিয়েট প্রতিরোধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
