তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বায়ুদূষণের পরিমাণও বাড়তে থাকে। ঋতু পরিবতর্নের সময়ে নানা ধরনের ভাইরাল ফিবার, হজমের অসুবিধাসহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ ফুসফুসে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মৌসুমী ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
এক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ফল আমলকি। এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। কিন্তু বেশি আমলকি খেলে হতে পারে হীতের বিপরীত। আসুন জেনে নেওয়া যাক কতটা খেলে সমস্যা হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
জুস বা অন্য কোনোভাবে খাওয়ার থেকে আমলকি চিবিয়ে খাওয়াই ভালো। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২টি আমলকি খাওয়া যায়। এতে সব চেয়ে বেশি উপকার হয়। তবে দিনে দু’একটির বেশি আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এর জেরে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
সার্জারি হলে এড়িয়ে চলুন
কিছু ক্ষেত্রে ফলটিকে এড়িয়ে যাওয়া ভাল। যদি কোনো সার্জারি হয়ে থাকে বা কোনো ব্লাড থিনিংয়ের ওষুধ খান কেউ, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অন্তঃসত্ত্বা বা যারা বাচ্চাকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাদেরও আমলকি এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর
এটি একটি শক্তিশালী কার্ডিওভাসকুলার উদ্দীপক। তবে আমলকি আপনার হৃদয়ে কোনো কঠোর প্রভাব পড়ে না। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে কার্ডিয়াক সম্পর্কিত কোনো সমস্যা থাকলে এই ফলটি ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
অ্যালার্জি হতে পারে
খুব কম লোকেরই আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জি হতে পারে। অত্যাধিক খাওয়ার ফলে কিছু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। যেমন পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা হতে পারে।
ঠান্ডা লাগতে পারে
আমলকি শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। সুতরাং, ফলটি অধিক পরিমাণে খেয়ে ফেললে জ্বর-সর্দি হতে পারে। আপনি সর্দি বা কাশিতে ভুগলে না খাওয়ায়ই শ্রেয়।
