ঢাকা : লন্ডনের ১৭ বছর বয়সী কিশোরী খাদিজা সুলতানা জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট(আইএস)-এ যোগ দিতে গত বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে ঘর ছেড়েছিল। উদ্দেশ্য সিরিয়ায় যুদ্ধে অংশ নেয়া। সেখানে রাশিয়ান বিমান হামলায় খাদিজা নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন তার পরিবার।
খাদিজার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি জানায়, গত বছর খাদিজা তার দুই বান্ধবী শামিমা বেগম এবং আমিরা আব্বাসির সঙ্গে লন্ডনের বেথনাল গ্রিনের বাসা ত্যাগ করে। খাদিজার পরিবার তার সঙ্গে ফোনে যোগোযোগ ছিল। কিন্তু গত মে মাসের পরে আর যোগাযোগ হয়নি। তাদের ধারণা, রাক্কা শহরে রাশিয়ার বিমান হামলায় খাদিজা সুলতানার মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যাকাডেমিতে পড়াশুনা করতো খাদিজা। ধারণা করা হচ্ছে, অনলাইনেই খাদিজার মগজ ধোলাই করে আইএস সদস্যরা। পরে দুই বান্ধবীসহ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের পথে রওয়ানা হয়। সিরিয়ায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা যোগ দেয় আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে। ব্রিটিশ এই তিন তরুণীকে ‘জিহাদি বউ’ করা রাখা হয়েছিল বলে ধারণা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খাদিজার স্বামী সোমালিয়ার বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক। গত বৎসর তিনি মারা যান। সিরিয়া থেকে পালিয়ে ব্রিটেনে ফিরতে চেয়েছিল খাদিজা। চলতি বছরের শুরুর দিকে রাশিয়ান বিমান হামলায় তার মৃত্যু হয়।
খাদিজার বোন হালিমা খানমের আইটিভি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তার বোনের সঙ্গে ফোনালাপের রেকর্ড শোনান।
খাদিজাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এখানে ভালো নেই। খুব ভয় পাচ্ছি। তুমি জানো, এখানকার সব সীমান্ত এখন বন্ধ। আমি কিভাবে পালিয়ে আসব?’
সেখান থেকে পালিয়ে আসার সুযোগ কতটুকু জানতে চাইলে খাদিজা তার বোনকে জানায়, সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসার সুযোগ একেবারেই ক্ষীণ। সূত্র: বিবিসি ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
