বাংলাদেশকে ৯৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কিনতে । এটি বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এডিবির বোর্ডসভায় অনুমোদনের এক দিন পরই এ বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে ঋণ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এই চুক্তি সই হয়েছে।

সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার এডিবির বোর্ড সভায় এই ঋণ অনুমোদন হয়।

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে সহযোগিতা করার জন্য গত ডিসেম্বরে এডিবি ৯০০ কোটি ডলারের যে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ভ্যাকসিন একসেস ফ্যাসিলিটি’ প্রোগ্রাম চালু করেছিল, তার আওতায় এই অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয়, এশিয়া-প্যাসিফিক ভ্যাকসিন অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় এই ঋণ ‘রেসপনসিভ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস ফর রিকভারি প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় হবে। অর্থ বিভাগ এই প্রোগ্রামের উদ্যোগী বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রকল্পের সার্বিক তদারকি করবে।

ভ্যাকসিন সাপোর্ট প্রোগ্রামটি ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে। এর উদ্দেশ্য হলো করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে টিকা কেনায় সহায়তা করা।

মোট ঋণের অর্ধেক বা ৪৭ কোটি ডলারের জন্য বাংলাদেশকে ২ শতাংশ সুদ দিতে হবে। অবশিষ্ট ৪৭ কোটি ডলারে রেগুলার সুদহার প্রযোজ্য হবে।
এ ছাড়া অব্যয়িত অর্থের ওপর ০.১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ প্রযোজ্য হবে। এ ঋণ তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।

ইআরডি সূত্র জানিয়েছে, এডিবি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণের লক্ষ্যে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ২৫ কোটি ডলারের ‘পলিসি সাপোর্ট, কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স’ শীর্ষক প্রকল্পে ১০ কোটি ডলার সহায়তা এবং করোনা মোকাবিলায় ৯.৩৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার ঋণ অনুমোদনের পর এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেছিলেন, ‘মহামারি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার অংশ হিসেবেই এই ঋণ দিয়েছে এডিবি, যাতে করোনা থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেয়া, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবিকার জন্য নতুন ক্ষেত্র গড়ে তোলা এবং অর্থনীতি আগের মতোই প্রবৃদ্ধির aধারায় যেতে পারে।’

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031