র‌্যাব ১১ চারজনকে আটক করেছে  লক্ষ্মীপুরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’র আওতাধীন একটি এজেন্ট ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় । আজ শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লক্ষ্মীপুর র‌্যাব-১১’র কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হবে জানান তিনি।

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পৌর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মো. মইন উদ্দিন (৫৮), তার ছেলে আনোয়ার হোসেন বাবু (২২), একই এলাকার নুর হোসেনের ছেলে রিয়াজ (২৪) এবং মৃত আব্দুর নুর ভূইয়ার ছেলে মো. রাসেল হোসেন (৩১)। তাদের কাছ থেকে নগদ ১৩ হাজার টাকা, একটি চেক বই, দুইটি ভুয়া সিমকার্ড, মোবাইল ফোন ও ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশমারা এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় ঈদের ছুটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ব্যাংকের সিন্দুকে রক্ষিত ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫০ টাকা লুট করে। ব্যাংকিং শাখার প্রোপ্রাইটার মো. রেজাউল করিম বিষয়টি র‌্যাব-১১-কে জানালে তারা অনুসন্ধান শুরু করেন। এছাড়া অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে রেজাউলের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
ওই মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে র‌্যাব সদস্যরা গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী থেকে রাসেল নামে একজনকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে পৌর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি গ্রামের আলার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির মূলহোতা আনোয়ার হোসেন ও তার বাবা মইন উদ্দিনকে আটক করে র‌্যাব।

এ সময় তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ব্যাংক লুটের সরঞ্জাম ও লুট হওয়া নগদ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একই বাড়ির মো. রিয়াজকে আটক করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় জড়িতে আরেকজন পলাতক রয়েছে।

র‌্যাব আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা স্বীকার করেন, ঈদের ছুটির সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ১৯ জুলাই রাত ১০টার দিকে ব্যাংক ভবনের ওয়াশরুমের লোহার ভেন্টিলেটর ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা সিন্দুকের তালা খুলে ভেতরে থাকা টাকা লুট করেন এবং কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভেঙে ভেন্টিলেটর দিয়ে পালিয়ে যান। ঈদের পর ২৩ জুলাই ব্যাংকিং শাখার মালিক ডাকাতির বিষয়টি টের পেয়ে র‌্যাবকে জানায়।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031